ভোলায় নানা আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

0
1269

এইচ আর সুমন:বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী র‌্যালী, আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। গতকাল ১৯ আগস্ট সকাল ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জামিল হোসেন ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ টুম্যান, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, জেলা বিএনপি নেতা হাসানা তৌফিক রিহীন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মফিজুল ইসলাম মিলন, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রব আকন, সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুবেল রুবেলের স ালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলে সদস্য আবদুল কাদের সেলিম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব কবির হোসেন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শহিদুল আলম মানিক, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবদুর রহমান সেন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুবেল, আকবর আকন, আকবর হোসেন, এবিএস সালাম, ইব্রাহিম খলিল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মীর নুরে আলম ফরহাদ, সম্পাদক ইয়াকুব শাহ জুয়েল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অজিউল্যাহ সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুদ্দিন হাওলাদার, সোহাগ, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মনির হোসেন, রবিন চৌধুরী, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল লতিফ টিটু প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে বড় মসজিদের সামনে আসলে পুলিশের বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়। পরে র‌্যালীটি পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যায়।
প্রধান অতিথি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমানে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দল খুবই শক্তিশালী। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে এই দলটি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। খুব শীঘ্রই স্বেচ্ছাসেবক দলের পুর্নাঙ্গ কমিটি করা হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। এই অবৈধ সরকার দেশের সাধারন মানুষের প্রতি নির্যাতন, জুলুম, অত্যাচার চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেস্টা করছে। কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে কোন সরকারই জনগনকে ধাবিয়ে রেখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। এই সরকারও পারবে না। বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে এক নায়কতন্ত্র কায়েক করছে। উত্তরা লে ভয়াবহ বন্যায় মানুষ বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। সরকার সেদিকে খেয়াল না দিয়ে ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অথচ উত্তরা লের মানুষ এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যদিয়ে দিন অতিবাহিত করছে, সেখানে পর্যাপ্ত কোন ত্রান দেওয়া হয়নি। যেটুকু যাচ্ছে সেটুকুও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা লুটপাট করে নিচ্ছে। তিনি উত্তরা লের মানুষকে এই ভয়াবহ বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে দেয়া প্রার্থনা করেন। তিনি এই ক্লান্তিলগ্নে সকল অঙ্গসংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

 

LEAVE A REPLY