হেলাল উদ্দিন,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট॥ ভোলা পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার এলাকাবাসী। রবিবার সন্ধ্যায় একটি পত্রিকা অফিসে এসে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন,গত কয়েক দিন আগে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শওকাত হোসেন কে জড়িয়ে ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গির তালুকদার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে জড়িয়ে বিভিন্ন মানুষের জমি দখল করে এই মর্মে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি বলেন,আসমত সদ্দার,শাহাবুদ্দিন মিয়া,মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন,লোকমান মিয়ার জমি দখল করার হয়েছে। কিন্তুু এই জমির প্রকৃত মালিকরাই এখন এই জমি দখলে আছেন। কার জমি কেউ দখল করেনি বলে তারা জানায়। এসময় তারা বলেন লেকামনা মিয়ার জমির প্রকৃত মালিক আবু মিয়া। তিনি দির্ঘদীন ধরে ঘর করে থাকছেন। এই জমী নিয়ে লোকমান মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে সালিশ থাকলেও পৌর সভা থেকে রায় পায় আবু মিয়া। আবু মিয়া জানায়, একটি মহল আমার জমী দখল করার চেষ্টা করে। ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে তাদের জমী দাবী করে আসছিলো। পরে পৌরসভা সালিশের মাধ্যমে কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করে আমার পক্ষে রায় পৌর কর্তৃপক্ষ রায় দেয়। কাউন্সিলার আমার জমী এসে পৌর সভার পক্ষে এসে জমি বুঝিয়ে দিয়ে যায় বলে জানান। এসময় আবু মিয়া দাবী করে বলেন, বাপ্তার ইউনিয়নে আমার ১৭ শতাংশ জমী দখল করে ভোগ দখল করে খাচ্ছে জাহাঙ্গির তালুকদার। আমি আমার জমী ফিরত চাই।তা নাহলে আমি ভূমি আইনে মামলা দিবো।
সংবাদ সম্মেলনে মো: আলম বলেন, আমার বাবার ওয়ারিশ সূত্রে আমরা ভাইবোনরা জমী পাই। সেই জমী থেকে ৩৬ শতাংশ জমী আমরা কাউন্সিলার শওকত এর কাছে বিক্রি করি। এখানে এই জমী রুহুল আমিন মিয়ার বললেও তার কোন কাগজ পত্র নেই। আদালত থেকে আমরা রাই পাই।
এসময় বিউটি বেগম ও সুবুল মাল ও জানায় আমরা যার যার জমী ভোগ দখলে আছি। শুধু কমিশনারকে সমাজিক ভাবে অপদস্থ করতে জাহাঙ্গির তালু. বিভিন্ন অভিযোগ করেছে। প্রকৃত জমীর মালিকরাই জমীতে আছে বলে তারা জানান। এসময় তারা বলেন জাহাঙ্গির তালুকদার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সমাজের চোখে সিম্পেতি আদায় করতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। তাই তারা কাউন্সিলার শওকত হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আবু মিয়া, মো: আলম, বিউটি বেগম ও সুবুল চন্দ্র মাল।