ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলায় রাতভর ঝড়ো বাতাস আর থেমে থেমে ভারী আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।কিন্তুু আম্পানের তাণ্ডবে উপকূলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। আতঙ্ক আর উৎকন্ঠা কেটে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।
ঝড়ে আউশ, পাট, চিনা বাদান ও সয়াবিনের কিছুটা ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করলেও কৃষি বিভাগ বলছে, যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে ফসলের ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই।
জানা গেছে, জেলা সদর ও চরফ্যাশনের ঢালচরে বেশ কিছু এলাকায় ১০/১৫টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল থেকে ফের জোয়ারে পানিতে ফের প্লাবিত হয়েছে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকাগুলো। এর মধ্যে রয়েছে চরফ্যাশনের ঢালচর, চর পাতিলা, চর নিজাম, মহাজনকান্দি, কলাতলীরচর, মদনপুরসহ বেশ কিছু এলাকা। তবে পানির চাপ কিছুটা কম।
ঢালচরের বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, সকাল জোয়ারে এসেছে এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়ে পুরো এলাকা তলিয়ে যাওয়ার পর আবার নতুন করে জোয়ার এসে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা। রাতের ঝড়ে ৪/৫টি কাঁচা ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মদনপুরের বাসিন্দা লুৎফর পাটোয়ারী বলেন, দ্বীপচরের সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। সকালে ওইসব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছে। স্বাভাবিক হতে শুরু করছে জনজীবন।
এদিকে বুধবার রাতে জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান।
ঝড়ে বাঁধের কোনো বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, কিছু পয়েন্টে আংশিক ক্ষতি হতে পারে, তবে তার তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে জেলায় ট্রলার ডুবি ও গাছচাপা পড়ে নিহত দুই পরিবারকে নগদ ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
চরফ্যাশনে গাছচাপা পড়ে ছিদ্দিক ও মেহেন্দগঞ্জলে ট্রলার ডুবিতে বোরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলামের পরিবারকে এ টাকা দেয় প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছে মানুষ এবং জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হবে।