ভোলার চরাঞ্চলের কৃষকদের নতুন কৌশলে সফলতা

0
0

মো: আফজাল হোসেন :: ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর মাঝে জেগে উঠা চরাঞ্চলের শতাধিক গ্রামের কৃষকদের নতুন কৌশলে এনে দিয়েছে সফলতা ।  হতাশা কাটিয়ে মুখে হাসি ফুটেছে।

দ্বীপ জেলা ভোলার চারপাশটা মেঘনা ও তেতুলিয়া বেস্টিত। এই দুটো নদীর মাঝে জেগে উঠা মাঝের চর,মদনপুর,মেদুয়া,চর নিজাম,চর জহিরুদ্দিন,চর করাতলী,টর কুকরী-মুকরী,চর মোজাম্মেল,চর চটকিমারা ও ঢালচরসহ অন্তত শতাধিক গ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরো ক্যাপসিকাম,চিচিংগা (রেখা), শসাসহ নানান ধরনের শীত কালিন সবজির চাষ হয়েছে। জেলায় ৯হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। যার মধ্যে চরফ্যাসনেই ৪৬৫০ হেক্টর জমিতে। তবে সার,কিটনাশক,বীজ ও তেলের দাম বেশি থাকায় খরচ বেশি পরেছে বলে কৃষকরা। গতবছরের চেয়ে অনেক কম দাম পাচ্ছে চরাঞ্চলের এসব কৃষকরা। তাই লাভবান হতেই আবিস্কার করেছে নতুন কৌশল। রেখা বিক্রি করতে গিয়ে বাকা সবজিতে দাম পাচ্ছে তুলনামুলক। বেশি দাম দিচ্ছে সোজা আর দেখতে সুন্দর এমন সবজি (রেখা) বলে জানালেন,মেঘনা মধ্যবর্তী মাঝের চর এর কৃষক মো: সাহাবুদ্দিন। তার মতে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতেই তারা রেখার নিচে মাটিসহ ছোট পলিথিন ঝুলিয়ে দিচ্ছে যাতে রেখাটি সোজা হয়। এতে সফলতাও এসেছে। বাজারে বিক্রিতে পাচ্ছে ভালো দাম। একই কথা বল্লেন,দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝে জেগে উঠা চর মদনপুরের কৃষক মো: কবির। তিনি জানান,এভাবে সোজা করতে গিয়ে তাদের খরচ হলেও সবজি নস্ট হচ্ছে কম। পোকার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। বিক্রি ভালো আর দাম ভালো পাওয়ায় সকলেই এখন এই নতুন কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সফলতা এসেছে।

এদিকে সবকিছুর পরেও সার ও কিটনাশক এর দাম বেশিতে হতাশা রয়েছেই। এসব কৃষকদের দাবী সরকার কৃষকদের কথা চিন্তা করে সার ও কিটনাশক এর দাম নির্ধারন করলে আরো লাভবান হতে পারবেন তারা। একই সাথে কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগীতা এবং পরামর্শ চাচ্ছেন তারা। অভিযোগ হচ্ছে এসব চরাঞ্চলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দ্বায়িত্বে থাকলেও বাস্তবে তারা আসছে না। আবার কখনো মাসে একবার আসেন।

 

অপরদিকে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর,ভোলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো:  হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন,সবকিছুর পরেও ভালো ফলন হয়েছে দাম ভালো পাচ্ছে কৃষকরা। বলছেন,আমনের যেমন বাম্পার ফলন পেয়েছে তেমনি সবজিতেও বাম্পার ফলন হয়েছে। সার  ও বীজ সরকারী রেটে বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে বলেন,কিটনাশক বিক্রি করছে কোম্পানী গুলো তাদের নির্ধারিত রেটে। সার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ তাকলে বরাবারের মতই ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান। কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগীতা পাচ্ছে না,এমন অভিযোগের জবাবে বলেন,না পাওয়ার কথা নয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩জন উপসহকারী কমর্কর্তা দ্বায়িত্বে রয়েছে।

LEAVE A REPLY