ভোলা নিউজ ২৪ডটকম :: পর্যটক এলাকা নামে খ্যাত ঢালচর ইউনয়নের চর তারুয়ার অবস্থান। সাগড় মোহনার চরম অবহেলীত এই ইউনিয়নে ভালো রাস্তা না থাকলেও আছে নদী ভাঙ্গন। তাইতো প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে রাস্তাঘাট আর তা রক্ষায় মরিয়া স্থানীয় গ্রামবাসী। যে যার মত করেই সেচ্ছায় করছে এসব কাজ।
দ্বীপ জেলা ভোলার অবেহলীত অপরদ্বীপ চরফ্যাশন উপজেলার সাগড় মোহনার ঢালচর। অথচ ইউনিয়নটিতে একটি পাকা ভবন পর্যন্ত নেই। নেই কোন ভালো রাস্তাঘাট। যা আছে তাও আবার ভেঙ্গে যাচ্ছে ভয়ংকর মেঘনার গর্ভে। তাই যেটুকু আছে তা রক্ষায় পুরো ইউনিয়নের মানুষ প্রানপন চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে।
সরেজমিন বিচ্ছিন্ন এই ইউনিয়নে গেলে প্রথমেই নজরে আসে একটি মাত্র রাস্তা তাও আবার রাস্তার ইট পাশে ফেলে রাখা। এমন অবস্থায় কিছু বুঝে উঠতে খানিকটা সময় লেগেছে। রাস্তাটি ভয়াল মেঘনা নদীতে প্রতিনিয়ত বিলিন হচ্ছে। রক্ষা করার মত কোন শক্তি নেই স্থানীয় অসহায় মানুষদের। তাইতো তারা অভিনব ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। রাস্তা বিলিন হলেও রাস্তার ইট রক্ষায় সকলে মিলে রাস্তার ইট গুলোকে তুলে রাস্তার দুই পাশে ফেলে রাখছে যাতে পরবর্তীতে যে কোন কাজে ব্যবহার করা যায়। এ অবস্থায় কথা হয় , ৯নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন,অবহেলীত ঢালচরের দিকে প্রশাসনের যেন কারোই নজর নেই। সব সময় আমরা অবহেলীত থাকি। মেঘনার ভয়াল ভাঙ্গনে বিলিনের পথে আমরা। নদী রাস্তাঘাট,ঘর-বাড়ি সবই নিয়ে যাচ্ছে। আমরা গ্রামের মানুষ বিলিন হওয়া রাস্তার ইটগুলো তুলে রাখছি যাতে পুনরায় কোন কাজে খাটানো যায়। তাছাড়া আমরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছি এসব ইটদিয়ে মসজিদ মাদ্রাসার টয়লেটসহ জনগুরুক্তপুর্ন কাজ যাতে করা যায়। এগুলো নদীতে বিলিন হলেতো কোন কাজে আসবে না। একই সাথে গাছগুলো নিলামে বিক্রি করে দিলে সরকার লাভবান হবে।
এদিকে ঢালচর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মফিজুল ইসলাম বলেন,ঢালচর বিলিনের পথে ভাঙ্গনের কবলে পরে রাস্তাঘাটের ইট,গাছ সবই চলে যাচ্ছে। তবে এসব ইট নদীতে বিলিনের হাত থেকে রক্ষায় উচিত কোন জনকল্যানমুলক কাজে লাগানো। এমন কথা বহু গ্রামবাসীসহ স্থানীয় সচেতন মহলের। তবে তারা আরো বলেন,সরকারী ভাবে ঢালচর এবং ঢালচরের সম্পদ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী বলেও তারা মন্তব্য করেন।