ভোলার ইলিশার হিন্দু যুবক কমল হয়রানী থেকে মুক্তি চায়

0
377

স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার ইলিশায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কমল হাওলাদার নামের এক হিন্দু যুবককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মামলা মোকাদ্দমার ভয় দেখিয়ে কমলপর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা লোক মারফতে দাবি করে রফিকুল ইসলাম। মিথ্যা অপবাদ থেকে বাঁচতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে কোন সমাধান পায়নি কমল।

লিখিত অভিযোগে কমল হাওলাদার জানান, ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রাস্তার মাতা এলাকার খিতিশ চন্দ্র হাওলাদারের ছেলে কমল হাওলাদার এলাকায় দিনমজুরের কাজ করে বসবাস করে আসছে। স্থানীয় সিদ্দিকের ছেলে ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম হয়রানি করার জন্য কমলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ প্রচার করে। রফিক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধিদের কাছে বলে বেড়ায় তার ছোট্ট মেয়েকে কমল হাওলাদার টাকার লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। বিষয়টি লোকমুখে শুনতে পেরে কমল ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবগত করেন। কয়েকদিন পর কমলকে র‍্যাব অফিস থেকে ফোন দিয়ে অফিসে দেখা করার কথা বলে। সেখানে গিয়ে কমল জানতে পারে রফিক তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। কমল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি র‍্যাব অফিসে খুলে বললে সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হঠাৎ একদিন পুলিশের কিছু লোক রাতের বেলায় কমলের বাসায় আসে। তাদেরকেও কমল এই মিথ্যা অপবাদের বিষয়টি খুলে বলে। পরে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায় ৷ কোন কিছুতেই কমলকে ঘায়েল করতে না পেরে রফিকুল ইসলাম অন্য লোক দিয়ে ফোন দিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে বলে। পঞ্চাশ হাজার টাকা দিলে রফিকুল ইসলাম কমলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তুলে নেবে। কমল টাকা দিতে অস্বীকার করায় রফিকুল ইসলাম তাকে মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখায়। এছাড়াও কমলকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয় রফিকুল ইসলাম। হুমকি-ধামকির ভয়ে বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে কমল হাওলাদার।

এ ব্যাপারে মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দিন আমরা যখন নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম তখন আমার ছোট্ট মেয়ে দোকানে বসেছিল। এমন সময় কমল হাওলাদার আমার মেয়ের পাশে বসে থাকে ১০০ টাকার লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি নামাজ পড়ে আসলে আমার মেয়ে আমাকে সবকিছু খুলে বলে। পরে আমি বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানাই এবং র‍্যাব অফিসে ও থানায় অভিযোগ দায়ের করি। তার বিরুদ্ধে কয়দিন আগে মামলা করেছি। পঞ্চাশ হাজার টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

LEAVE A REPLY