মো: আফজাল হোসেন ।। পুর্নীমার জো ও নিন্মচাপের ফলে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬থেকে ৭ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভোলার নদী মধ্যবর্তী চরাঞ্চলসহ অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্ধি হয়ে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া ভোলা শহর রক্ষা বাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়া এবং ফাটল দেখা দেয়ায় চরম আতংক দেখা দিয়েছে সাধারন মানুষের মাঝে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠৈ। শুধু তাই নয় অতিজোয়ারের ফলে বিকালে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ১শত ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ছিলো বিগত দিনের চেয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড। ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা,রাজাপুর,ধনিয়া,কাচিয়া,ভেদুরিয়া,ভেলুমিয়া, শিবপুর, দৌলতখান উপজেলা,বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাঁধের উপর দিয়ে পানি লোকালয়ে ডুকে পড়েছে বলে খবর পাোয়া গেছে।
জেলার ঢালচর, চর নিজাম, কাজীর চর,কলাতলীর চর,মদনপুর,মেদুয়া,চর চটকিমারা, কচুয়ারসহ নদী মধ্যবর্তী এসব চরাঞ্চল ৬ থেকে ৮ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সদর উপজেলার ইলিশায় নদীতে গোসল করতে নেমে সুজন নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়েছে।
জেলা শহরের নিকটবর্তী এলাকা নাছির মাঝি, তুলাতুলী এবং কোড়ারহাট এলাকায় পানি ডুকে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
এবারের বর্ষায় এসব এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ গুলো ভেঙ্গে জেলা শহরে পানি ডুকতে পারে এমন আশঙ্কার কথা আগেই পাউবোকে জানানো হয়েছিলো। এসব বিষয় কর্নপাত করেননি নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যরা। তাই পাউবো কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন ভোলা শহর রক্ষা বাঁধসহ ভোলাবাসী চরম হুমকির মুখে পড়েছে দাবী করে জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধ গুলো সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম গোলদার। তিনি দ্রুত বাঁধ সংস্কার করার দাবী জানান।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো সংস্কারে কাজ চলছে। এছাড়া রাতের জোয়ারে পানির পরিমান আরো বাড়ার আশঙ্কা থাকায় পাউবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।