সীমিত পরিসরেই পালিত হলো বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় দরুইন গ্রামে পাকবাহিনীদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভোলা সদর উপজেলার আলী নগর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে প্রতিবছর দোয়া মহফিলসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে বীরশ্রেষ্ঠের ছোট ভাইয়ের ছেলে মো. সেলিম জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে এবছর সীমিত পরিসরে সামাজির দূরত্ব বজায় রেখে পরিবারের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ৪০০ দরিদ্রের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালসহ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ঠেকানোর জন্য আখাউড়ার দরুইন গ্রামে অবস্থান নেন। ১৮ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে শুরু হয় প্রচণ্ড বৃষ্টি। একইসঙ্গে শত্রুর গোলাবর্ষণ। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি বর্ষণ করতে শুরু করেন। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। মেশিনগান চালানো অবস্থায় এক মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি লাগে। মুহূর্তের মধ্যে মোস্তফা কামাল হাতে তুলে নেন মেশিনগান। এসময় আরও একজন মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি লাগে। মোস্তফা কামাল সব সহযোদ্ধাদের সরে যেতে বলেন।
পরিখার মধ্যে সোজা হয়ে চালাতে লাগেন স্টেনগান। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ছেড়ে যেতে না চাইলে তিনি আবারো সবাইকে নিরাপদে চলে বলেন। অবিরাম গুলি চালাতে থাকেন তিনি। তার আক্রমণে মারা পড়েন বেশ কয়েকজন পাকসেনা। হঠাৎ একটি গুলি এসে মোস্তফা কামালের বুকে লাগে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে দরুইনের মাটিতে সমাহিত করা হয় জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।