বিয়ে করলেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর কাবিলা

0
3

দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে মাস চারেক আগে পলাশের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়

দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে মাস চারেক আগে পলাশের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়

কাজল আরেফিন বললেন, দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে মাস চারেক আগে পলাশের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। দুই পরিবারের সবাই চেয়েছিলেন, নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের। কিন্তু পলাশের একমাত্র দুলাভাই দেশের বাইরে থেকে আসতে পারেননি। আবার এর মধ্যে তাঁরও ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ের ব্যস্ততা। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের সবাই তাই ভাবল, আপাতত বিয়ের ব্যাপারটা জানাজানি হোক, তাহলে নবদম্পতিও নিজেদের মতো করে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন। তাই এখন জানানো। পরে সুবিধাজনক সময় দেখে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করা হবে।

জিয়াউল হক পলাশের স্ত্রী নাফিসা রহমান ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন

জিয়াউল হক পলাশের স্ত্রী নাফিসা রহমান ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন

কাজল আরেফিন জানালেন, পলাশের স্ত্রী নাফিসা রুম্মান মেহনাজ ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। মা–বাবার পছন্দের পাশাপাশি পলাশ ও নাফিসা দুজন দুজনকে পছন্দ করেন। গত বছরের নভেম্বরের দিকে পরিবারের কথায় নাফিসার সঙ্গে পরিচিত হন পলাশ। তখন জানতে পারেন, অভিনয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ার অনেক আগে থেকে নাফিসা তাঁকে পছন্দ করতেন। পরিচয়ের মাস তিনেক পর পলাশ ও নাফিসার সখ্য বাড়তে থাকে। এরপর পরিবারের সম্মতিতে নাফিসাকে বিয়ে করেন তিনি।

বিয়ের বিষয়টি জানিয়ে পলাশ বললেন, ‘মা– বাবার পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়ে করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, দাম্পত্যজীবনে আমরা ভীষণ সুখে আছি৷ সবার কাছে দোয়া চাই, জীবনের বাকিটা সময় যেন পরস্পরের অপরিহার্য হয়ে একসঙ্গে থাকতে পারি।’

জিয়াউল হক পলাশ ২০১৩ সালে ছবিয়ালের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এরপর ইশতিয়াক আহমেদ রোমেলের সহকারী। ২০১৭ সালে কাজল আরেফিনের সঙ্গে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। একটা সময় এই পরিচালকের আলোচিত নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অভিনয় শুরু করেন।

পলাশ বলেছিলেন, ‘শুটিংয়ের আগে আমি ও অমি ভাই মিলে “ব্যাচেলর পয়েন্ট” নাটকটির ক্রিপ্ট করছিলাম। আমার বাড়ি নোয়াখালী। নাটকটিতে নোয়াখালীর একটা চরিত্র আছে। অমি ভাই একদিন বললেন, “চরিত্রটি তোমাকে করতে হবে।” কিন্তু একই নাটকের সহযোগী পরিচালক, আবার অভিনয়, চাপ পড়ে যাবে। করতে চাইনি। পরে অমি ভাইয়ের চাপাচাপিতে শুরু করলাম। ভাবলাম, অভিনয়ে আমার হারানোরও কিছু নেই, পাওয়ারও কিছু নেই। আমার মাথায় ছিল ভালো করলেও কিছু হবে না, খারাপ করলে তো বাদই। কাবিলা চরিত্রই আমাকে সবার কাছে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।’

LEAVE A REPLY