ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শনিবার কেন্দ্রীয় সংসদের প্যাডে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা জানানো হয়।
ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় নিশান মাহমুদ শামীম (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ফরিদপুর শাখা) ও মো. সাইফুল ইসলাম জীবনকে (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ফরিদপুর শাখা) ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।
গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবল সাহা ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। গত ৭ জুন পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই মামলার আসামি হিসেবে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার উত্তরা এলাকার ১২ নম্বর সেক্টর থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ তাদের জবানবন্দিতে ‘যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন’ তাদের সবার নাম উল্লেখ করেছেন। মানি লন্ডারিং মামলায় এ পর্যন্ত সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাদের মধ্যে আরও আছেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার, ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন ও শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন বলেন, ‘শামীম-সাইফুলরা একদিনে সৃষ্টি হয় না। তাঁরা পরিস্থিতির শিকার। নিজেদের হীন স্বার্থে ব্যবহার করে তাদের আজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন ক্ষমতাসীন চক্র। তাদের অন্যায় কাজে ব্যবহার না করলে আজকের শামীম-সাইফুলদের সৃষ্টি হতো না। যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তাদের এই অবস্থা তাদেরও গ্রেপ্তার করা হোক।’