প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ

0
123

ভোলা নিউজ২৪ডটকম ॥ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বন বিভাগের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক লক্ষ টাকার গাছ কেটে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। করোনাভাইরাসের সংক্রমনের মধ্যে কোন প্রকার দরপত্র আহবান না করে কিংবা নিলামে না তুলে অনেকে গোপনে এ গাছগুলো কাটা হয় ও বিক্রি করা হয়। স্কুল বন্ধ থাকায় বিষয়টি জানানো হয়নি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদেরও। শিক্ষকরা বলছেন, প্রধান শিক্ষক একক সিদ্ধান্তে এ গাছগুলো কাটা হয়েছে। আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কাছগুলো কাটা হয়েছে। কারণ প্রচন্ড জরো বাতাসে গাছগুলো ভোলা খালের মধ্যে পড়ে গিয়ে মালবাহী বলগেট চলাচলে বিগ্ন ঘটছিলো বলে জানান। তবে ভোলা নাগরিক সমাজ বলছে ঐতিহ্যবাহী ভোলা সরকারি স্কুলের গাছ এভাবে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানে প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যে ভোলা সরকারি স্কুলের খাল পারে এক সময় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের লাগানো গাছগুলো অনেক বড় হয়ে স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ঝড় বাদল থেকে রক্ষা করতো। কিন্তু সেই গাছগুলোর মধ্যে চাম্বুল ২টি, মেহগনি ২টি, সেগুন ২টি, রেইট্রি ১টি, তেতুঁল ১টিসহ ৭টি লক্ষাধিক টাকার কাছের মূল্যের গাছ মাত্র ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী ইউনুছ এই গাছগুলো কিনে নিয়েছে বলে জানা যায়। অথচ এই গাছ বিক্রি করতে হলে বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি সহ কাছের ক্রয় মূল্য নির্ধারন করে দরপত্র আহবান করে বিক্রি করার কথা থাকলেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোন নীতিমাল না মেনে গাছগুলো বিক্রি করে দেয়। আর তার এই কাজের সহযোগীতা করেছেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক মাকসুদ রহমান ও মহিন হোসেন।
নাম গোপন রাখার শর্তে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকরা বলেন, গাছ কাটার সময় প্রধান শিক্ষক সকলকে অবগত করেননি। কিন্তু গাছ কাটাসহ অনেক বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নীতিমালা মানছেন না। অনেক কাজ ওনার একক সিদ্ধান্তে হচ্ছে।
উপকূলীয় বন বিভাগ কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কাটার জন্য আমাদের অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি আমার জানাও নেই। তবে বন বিভাগের অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা অন্যায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গাছগুলো পড়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কাটতে হয়েছে। তাছাড়া গাছগুলো রাস্তার উপর ও বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের উপর পরে ক্ষতি করেছিলো। ফলে ব্যবসায়ীরাও চাপ দিচ্ছোলো গাছ কাটার জন্য। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কাটা গাছগুলো দিয়ে বে তৈরি করা হচ্ছে। আর যে টাকা থাকবে তা দিয়ে স্কুলের উন্নয়ন কাজে ব্যায় করা হবে। তার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

LEAVE A REPLY