ভোলা নিউজ ১৪ ডটনেট ।। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ১৯৯৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম।
বিচারপতিদের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়, প্রধান বিচারপতির দেওয়া এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (প্রধান বিচারপতি) যে কথাগুলো বলছেন, বিশেষ করে বিচার বিভাগে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আইন হওয়া উচিত, এই হওয়া উচিত, সেই হওয়া উচিত, ইমপারশিয়াল হওয়া উচিত, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ না হওয়া উচিত। তিনিও কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় ১৯৯৯ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন।’
‘তিনি রাজাকার না বলেই, বা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন না বলেই কিন্তু আমরা বিচারপতি নিয়োগ করেছিলাম এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিলাম।’
কামরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এই পাঁচ মাস, সাত মাস তিনি আরো প্রধান বিচারপতি হিসেবে আসীন আছেন, তিনি একটি গ্রুপের ১/১১-এর কুশীলবদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছেন, এটা বহুল প্রচলিত। আজকের বাজারে এ কথাটা আছে এবং এ কথাটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তাঁর কাছ থেকে আরো বড় আঘাত সামনে আসতে পারে।’
সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘জানি না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু একটা বিহিত, ব্যবস্থা করা উচিত।’
শনিবারের আলোচনা সভায় সাবেক বিচারপতি বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক বলেন, ‘যে জজ সাহেব অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে, যদি এটা অনুরাগ বা বিরাগ বলে মনে করেন আপনারা, যে কথাগুলো আমি বললাম যে, পার্লামেন্ট ইজ ইমম্যাচিওর, ডেমোক্রেসি ইজ ইমম্যাচিওর, পার্লামেন্ট আমাদের ডাইরেকশন শোনেনি… এ কথাগুলো যদি অনুরাগ-বিরাগের মধ্যে চলে আসে, তাহলে সেই জজ সাহেবের পজিশনটাই বা কী হবে। তিনি কি আর ওর্থ বাউন্ড থাকছেন কি না। সেটাও আপনারা বিচার বিবেচনা করে দেখুন।’
সাবেক এই বিচারপতি আরো বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিরা রাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু করবেন না বলে যে শপথ গ্রহণ করে থাকেন, সেই শপথ ভঙ্গ করলে তারা ওই পদে আর বহাল থাকতে পারেন না। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের মধ্য নিয়ে সে রকমই একটি পরিস্থিতি প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতির বেলায় হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।