মেঘনার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ভোলা-লক্ষিপুর রুটের ফেরি চলাচল ব্যহত

0
211

মো: আফজাল হোসেন ।। উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে পানিতে ডুবে গিয়ে ভোলা-লক্ষিপুর রুটের ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে এই রুট ব্যবহারকারীদের।

আম্পানের প্রভাবের ফলে বৃদ্ধি হওয়া নদীর পানি না কমতেই উজানী ঢলে পুনরায় মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে নদীর পানিতে ডুবে থাকে জোয়ারের সময়। তাই নদীতে ভাটা লাগা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ফেরির গাড়ী লাড-আনলোড করতে। তার পরেও যেটুকু পানি থাকে তা দিয়ে ফেরিতে উঠা-নামা করতে গিয়ে চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে যানবাহন গুলোসহ সাধারন যাত্রীদের। কখনো ফেরিতে উঠতে গিয়ে গাড়ীর ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তখন আর দুর্ভোগ আরো চরমে পৌছে। ঠেলে তুলতে হয় ফেরিতে। না হলে ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকে ফেরির লোড-আনলোড। যার ফলে পারাপারের অপেক্ষায় গাড়ীর দীর্য লাইন পড়ে যায় পারাপারের অপেক্ষামান গাড়ীর। গ্যাংওয়ের রাস্তাটি উচু করলে এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে এই রুট ব্যবহারকারীরা।

বরগুনা থেকে মালামাল নিয়ে চট্রগ্রামমুখী ট্রাক চালক মো: আলমগীর বলেন,কম সময় লাগে এইরুট দিয়ে যাতায়াত করতে। তাই আমরা ভোলা হয়ে যাই। তবে ভোলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাটে কোন সমস্যা না হলেও ভোলার ইলিশা এবং লক্ষিপুর মজুচৌধুরী ঘাটে যত সমস্যা। হয়রানীর শেষ নেই এই দুটি ঘাটে। একই ধরনের কথা বল্লেন,অপর একটি ট্রাকের চালক শাহে আলম,মো: আসলামসহ অনেকেই।

এছাড়া যাত্রীদের চরম হয়রানীর কথা তুলে ধরলেন বরিশাল ও ঝালকাঠী থেকে আসা চট্রগ্রামমুখী মো: জাফরউল্লাহ,আব্দুল জলিলসহ অনেকেই। তাদের বক্তব্য হচ্ছে,বহু কস্ট করে এই রুট দিয়ে যাতায়াত করছি। বর্ষা মৌসুম আসলেই ফেরির গ্যাংওয়ে পানিতে ডুবে যাওয়ায় সমস্যা বেশি হয়। এছাড়া ফেরির লোকজন চরম হয়রানীর কথাও জানালেন তারা।

এবিষয় ইলিশা ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিএ’র ঘাট ম্যানেজার কেএম এমরান বলেন,এটা লো-ওয়াটার ঘাট। এই সমস্যা দীর্য দিন ধরেই আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে আসছি। আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।

অপরদিকে পন্টুন ও গ্যাংওয় বিভাগের বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশালের সহকারী পরিচালক মো: কামরুজ্জামান বলেন,আজ বুধবার আমাদের বোর্ডের মেম্বার স্যারকে নিয়ে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট পরিদর্শন করেছি। হাই-ওয়াটার ঘাট প্রস্তত করা হয়েছে। পন্টুনের একটু সমস্যা হওয়ার কারনে এটি চালু করতে আরো ৩/৪দিন সময় লাগবে। আম্পানের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধিতে এই সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি এটা থাকবে না।

খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ দক্ষিনাঞ্চলীয় ২১জেলার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে এই রুট দিয়ে। চট্রগ্রাম, ফেনি,কুমিল্লাহসহ বিভিন্নস্থানে যাতায়াতে কম সময় লাগার কারনে এই রুট যানবাহন চালকসহ সাধারন মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তাই ভুক্তভোগীদের দাবী দ্রুত সমস্যার সমাধান করে রুট ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ কমিয়ে আনার।

LEAVE A REPLY