ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তেমনটা ভালো করতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। ২ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ১ উইকেট। তবে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বিপরীত চিত্রে দেখা গেল তাকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া এ টুর্নামেন্টে নিজের অভিষেক ম্যাচে ছন্দময় বোলিং করলেন তিনি। গতি আর সর্পিল সুইংয়ে মুলতান সুলতানসের ব্যাটসম্যানদের ঘায়েল করে ২ উইকেট নিয়েছেন দ্য ফিজ। এতে পিএসএল অভিযাত্রা দুর্দান্ত হল বাংলাদেশ পেসারের।
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লাহোর কালান্দার্স অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তবে শুরুতে তার আগে ফিল্ডিং নেয়ার যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারেননি বোলাররা। ১০ ওভারে ৮৮ রান তুলে সুলতানদের দুরন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও কুমার সাঙ্গাকারা।
ম্যাচের যখন এ পরিস্থিতি, তখন মোস্তাফিজকে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনেন ম্যাককালাম। প্রথম স্পেলে ১ ওভারে ৬ রান দিয়ে বাজিমাতের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কাটার মাস্টার। দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারেই শেহজাদকে (৩৮) তুলে নিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন তিনি।
শেহজাদ ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে থেকে যান সাঙ্গাকারা। বেশ চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন তিনি। তার দৌড়ও থামান মোস্তাফিজ। ১৭তম ওভারে শর্ট বলের ফাঁদে ফেলে লংকান কিংবদন্তিকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। ফেরার আগে ৪৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রানের টর্নেডো ইনিং খেলেন সাঙ্গা।
সব মিলিয়ে এ ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করেন মোস্তাফিজ। ২২ রান খরচায় তার শিকার ২ উইকেট। এর মধ্যে দুর্দান্ত কাটার ও সুইংয়ে ১২টি ডট বল আদায় করে নেন তিনি।
টাইগার বোলিং সেনসেশন এক প্রান্তে ভালো বোলিং করলেও অন্য বোলাররা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। ইয়াসির শাহ ছাড়া বাকিরা রান দিয়েছেন ওভার প্রতি গড়ে ছয়ের ওপরে। হাতেনাতে এর খেসারতও গুনতে হয়েছে লাহোরকে। তাদের ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় মুলতান।
জবাবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৭.২ ওভারে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় লাহোর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ফখর জামান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে উমর আকমলের ব্যাট থেকে।
মুলতানের ৪৩ রানের জয়ে বড় অবদান জুনায়েদ খান ও ইমরান তাহিরের। তাদের দুরন্ত বোলিংয়ে মাত্র ৪ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারায় লাহোর। হ্যাটট্রিক করেন জুনায়েদ। এ বাঁহাতি পেসার নেন ২৪ রানে ৩ উইকেট। লেগ স্পিনার তাহিরের শিকার ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান ও কাইরন পোলার্ড।