ভোলায় সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ৯ম শ্রেণির ছাত্রী

0
374

স্টাফ রিপোর্টর, ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : ভোলায় সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ আর ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গুপ্তমুন্সি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী লাইজু বেগম এর বাল্যবিয়ে চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকদের থেকে রক্ষা পেল। সূত্রে জানাযায় গুপ্তমুন্সি এলাকার বাগন আলীর মেয়ে লাইজু বেগম (১৪) এর সাথে একই এলাকার ইকবাল হোসেনের সাথে শনিবার দুপুর (০৭ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্য বিবাহের আয়োজন করেন। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকগন ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে ২নং ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছনাইন আহাম্মেদ হাছান মিয়াকে জানালে তিনি ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলম সিকদার ও দফাদার বাচ্চু মিয়া, গ্রাম পুলিশ মালেক মিয়াকে পাঠিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন এবং মেয়ের বাবা বাগন আলী স্থানীয় আনছার বয়াতী কে পরিষদে নিয়ে বাল্য বিবাহের আইনগত অপরাধ এবং তার মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে বিয়ে দেওয়া যাবে না বুঝিয়ে দিলে মেয়ের বাবা তার মেয়েকে ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান হাছনাইন আহাম্মেদ হাছান মিয়াকে। এই ব্যাপারে চেয়ারম্যান হাছনাইন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ইলিশা ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষনা করেছি আমি এর আগেও এবং ইলিশা ইউনিয়নের সকল মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিন ও কাজীদের নিয়ে প্রশিক্ষণও করিয়েছি। যাতে ১৮ বছরের আগে কোন মেয়ে এবং ২১ এর আগে ছেলের বিবাহ না হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের জন্ম সনদ দেওয়ায় পরিষদের উদ্যোক্তাকে চাকুরীচ্যুত করেছি। আজকেও বাল্য বিবাহের সংবাদ শুনে তাৎক্ষনিক ভাবে বিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছি। ভবিষ্যতে ইলিশা ইউনিয়নে কোন বাল্য বিবাহ থাকবে না বলে জানান তিনি।

LEAVE A REPLY