দৌলতখানে মহিলা কাউন্সিলরের ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাটের পরোও থেমে নেই ভুমিদস্যুরা॥ চালাচ্ছে অপপ্রচার

0
163

স্টাফ রির্পোটার ॥ ভোলার দৌলতখানে জমি জমার বিরোধের জেরে ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও পাঁচ মাসের শিশু বাচ্চাকে গলাটিপে হত্যা চেষ্টার ঘটনার পরেও থেমে নেই ভুমিদস্যু আবদুল হাই মাস্টার গং। পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আমেনা খাতুনের ঘরে হামলা ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও আমেনা খাতুনের বোন শাহানার ৫ মাস বয়সি শিশু বাচ্চা বিবি কুলসুম গলাটিপে হত্যা চেষ্টার ঘটনার পরেও থেমে নেই তারা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ,বসত ভিটা থেকে উৎখাতের হুমকি, মিথ্য মামলা দিয়ে হয়রানী করার ষড়যন্ত্র সহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে তারা।
গত রবিবার সকালে ফজরের সময় আবদুল হাই মাস্টার ও তার চাচাতো ভাই যুদ্ধাপরাধি কানকাটা মৃত শাজাহানের ছেলে মাসুদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসি দৌলতখান মহিলা কাউন্সিলর আমেনা খাতুনের ঘরে হামলা চালায় এবং ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।এসময় ঘরে থাকা কাউন্সিলর আমেনা খাতুনের চাচাতে ভাই আমিরুল ইসলামের স্ত্রী রোকেয়া (৪৫), বোন শাহানা ও তার ৫ মাস বয়সি শিশু বাচ্চা বিবি কুলসুম এর উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
কাউন্সিলর আমেনা খাতুন জানান, তার পিতা সুলতান আহমেদের একই এলাকার আজিজুল হক গংদের সাথে প্রায় ২৫ বছর ধরে জমিজমা সংক্রান্ত্র বিরোধ ছিল। আজিজুল হকের ভাই কানকাটা শাজাহান যুদ্ধাপরাধি ছিল। সে কয়েক মাস আগে মারা যায়। বিএনপি জোটের আমলে শাজাহান ও তার ভাই আজিজুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে সুলতান আহমদ ও তার পরিবারকে জমি থেতে উৎখাত করার চেষ্টা চালায়।এখনো তারা বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে তাদের পৈতিক জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে । যা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে ।
স্থানীয়রা জানান যে বর্তমান আওয়ামীলীগ আমলে আজিজুল ইসলাম ও তার ভাই কিছু স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কে ম্যানেজ করে টিকে আছে আজিজুল হক গং। আজিজুল হকের ভাই কানকাটা শাজাহান যুদ্ধাপরাধি ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা তার কান কেটে দেয়। বিএনপি জোটের আমলে শাজাহান ও তার ভাই আজিজুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে অনেকের জমি দখল করে তারা।তাদের অত্যচারে সাধারন মানুষ অতিষ্ট। আজিজুল হক গংদের হাত রক্ষা পেতে এবং সাধারন মানুষের জমি উদ্ধারের জন্য তারা ভোলা ২ আসনের এমপি আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

LEAVE A REPLY