দঃআইচায়  বাড়ির পথে বেত কাটা দিয়ে দরিদ্র পরিবারকে অবরুদ্ধ! 

দঃআইচায়  বাড়ির পথে বেত কাটা দিয়ে দরিদ্র পরিবারকে অবরুদ্ধ! 

0
129
চরফ্যাশন প্রতিনিধি।।বাড়িতে প্রবেশ করার একমাত্র যাতায়াত পথ বা দরজায় বেত কাটা ও বাঁশ দিয়ে এবং ওই পথটির একটি অংশে নালা/ ড্রেন তৈরী করে অসহায় ও হত দরিদ্র একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা যায় উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ আরন্দিার বাড়িতে আসা যাওয়ার একমাত্র পথটি দির্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে স্থানিয়রা। গত আগস্ট মাসের ৩ তারিখে স্থানিয় প্রতিবেশি জেবল হক পাটোয়ারির ছেলে ইউসুফ পাটোয়ারি ও সালাহউদ্দিন পাটোয়ারিসহ অন্যান্যরা মিলে এই পথটিতে বেত কাটা দিয়ে বেড়া দেয় যেন প্রতিবেশিরাসহ স্থানিয় এলাকাবাসী এই পথটি ব্যবহার করতে না পাড়ে।
ফলে পথটি সংলগ্ন ৫টি বসতবাড়ীসহ শত,শত স্থানিয় এলাকাবাসী পথটি ব্যবহার করতে না পেরে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারীরা জানান, এপথটি তারা দির্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর যাবত ব্যবহার করে আসছে। এবং এ পথকে কেন্দ্র করে ঘন বসতি গড়ে ওঠে। এখন এ পথ বন্ধ করে দেয়ায় ঘরবাড়ি ও চাষের জমিতে যেতে পাড়ছেনা স্থানিয়রা।
স্থানিয় বাসিন্দা মৃত মোস্তফার স্ত্রী তাসলিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার নানা লতিফ হাওলাদারের কাছ থেকে আমাদের পরিবারকে এ পথটি ব্যবহার করতে দেয়ার মৌখিক চুক্তিতে জেবল হক পাটোয়ারির ছেলে প্রতিবেশি মো. ইউসুফ পথের জন্য ২শতাংশ জমি ৭হাজার টাকা মূল্যে ২০০৩ সালে ক্রয় করে।
আমার নানা লতিফ হাওলাদার মানবিকভাবে তাদের অসহায়ত্ব বিবেচনা করে ওই জমিটি বিক্রি করে এবং উভয় পক্ষ ব্যবহার করার অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে আমাদের পুকুর থেকে মাটি কেটে ওই রাস্তাটি তৈরী করে। নানার মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে আমার মা,খালারা ৪জন ১১ শতাংশ করে জমি পায় এবং আমরা ওই ১১শতাংশসহ মামা নুর হোসেন ও নানী হাসান বানুর কাছ থেকে আরও ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করলেও
১৫ শতাংশ জমি ভোগদখলে আছি। এদিকে মামা নুর হোসেন বাকি ৭ শতাংশ জমি আমাদের বুঝ দিচ্ছেনা আমরা জমি বুঝ নেয়ার জন্য মামা নুর হোসেনকে বললে তিনি প্রতিবেশি ইউসুফ পাটোয়ারিকে দিয়ে চক্রান্ত করে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
আমরা বিষয়টি স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালে প্রতিপক্ষ ইউসুফগং রাগান্বিত হয়ে আমাদের বসতঘর সংলগ্ন বেত কাটা ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয় এবং পথটি কেটে একটি নালা তৈরী করে। এ যেন আমাদের জন্য একটি মৃত্যুর কূপ তৈরী করে রেখেছে। আমরা নানা লুৎফর হাওলাদারের নিজ জমির মাটি কেটে তৈরী করা পথ ও উভয় পক্ষের পথ ব্যবহারের চুক্তির বিষয়ে জানতে গেলে আমাকে ইউসুফগং লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক মারধর করে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে।
পরে আমার স্বজনরা এসে আমাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে আমি হাসপাতালে ৩দিন চিকিৎসাধিন ছিলাম। সুস্থ্য হয়ে থানাপুলিশ ও স্থানিয়গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালেও ইউসুফগংদের এমন আচরণের বিচার না পাওয়ায় উল্টো নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।
নিরুপায় হয়ে আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহদয়ের কাছে অভিযোগ করলে তিনি সমাধার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখনকে বিষয়টি দেখার জন্য বলে। উপজেলা চেয়ারম্যান শালিস ফয়সালার জন্য চরমানিকা ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদারকে দায়িত্ব দিলেও আজও কোনো সমাধা হয়নি। তিনি আরও জানান, স্থানিয় সাংসদকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর কারনে স্থানিয় গগণ্যমান্য ও প্রভাবশালীরা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে দেখে নেয়ার হুমকিধামকি দিচ্ছে।
প্রতিপক্ষের ইউসুফ পাটোয়ারী মুঠোফোনে জানান, আমাদের পথের জমিতে কাটা দিয়ে বেড়া দিয়েছি এবং মাটি কেটে আমরা গাঙ তৈরী করেছি তাতে প্রতিবেশী ও স্থানিয়দের সমস্যা হলে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।
এঘটনায় দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, আমি ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে একটু কালক্ষেপণ হয়েছে। তবে ওই পথটির মালিক পথটি কেটে কাটা দিয়েছে তাতে অভিযোগকারীদের সমস্যা কোথায়। বিষয়টি নিয়ে আমি উভয় পক্ষকে ডাকবো।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY