তজুমদ্দিনে স্বামীর ঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার ।। স্বামীসহ সকলেই পলাতক

0
91

মো: আফজাল হোসেন।। ভোলার তজুমদ্দিনে নির্যাতন করে স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামীর ঘর থেকে দুই সন্তানের জননী আকলিমা বেগম (২৭) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গেপ্রেরন করেছে। এঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার এঘটনা ঘটে। নিহর পরিবার এবং থানা পুলিশ জানায়,৯বছর আগে বোরহানউদ্দিনের আজিজল হোসেন এর মেয়ে আকলিমার সাথে তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর নতুন হাট এলাকায় মো: ফরহাদের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য প্রায় সময় নির্যাতন করছে। প্রায় সময় এনিয়ে শালিসী হলেও কোন সমাধান হয়নি। গতকাল বুধবারো পুনরায় শালিসীতে বসলে কোন সমাধান হয়নি। রাতেই স্বামীসহ শ্বশুড় বাড়ির লোকজন দুই সন্তানের জননি আকলিমাকে গলায় রশি পেচিয়ে হত্যার পর লাশ ঘরে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখে থানায়খবর দিয়ে আজ সকালে পুলিশ স্বামীর ঘর থেকে গলায় রশি পেচানো অবস্থায় আকলিমার লাশ উদ্ধার করে। নিহত আক‌লিমা বেগম ভোলার তজুম‌দ্দিন উপ‌জেলার শম্ভুপুর ইউ‌নিয়‌নের ১নং ওয়া‌র্ড এর নতুন হাট বাজার এলাকার মোঃ ফরহা‌দের স্ত্রী এবং বোরহানউ‌দ্দিন উপ‌জেলার প‌ক্ষিয়া ইউ‌নিয়‌নের ৩ নং ওয়া‌র্ড এর মোঃ আজিজল ইসলাম এর মে‌য়ে।

নিহ‌তের বাবা আজিজল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,গত ৯ বছর আগে তার মে‌য়ের সা‌থে ওই এলাকার তজুমদ্দিন নতুনহাট এলাকার মো: বাবু‌লের ছে‌লে ফরহা‌দের সাথে বি‌য়ে হয়। আক‌লিমা দুই সন্তা‌নের জননী। বি‌য়ের পর থে‌কে ফরহাদ যৌতু‌কের জন‌্য প্রায় সময়ই আক‌লিমা‌ বেগমকে মারধর কর‌তো।এ নি‌য়ে বেশ ক‌য়েক বার স্থানীয় ভা‌বে আক‌লিমার শ্বশুড়র বা‌ড়ির লোকজন সা‌লিশ মিমাংশায় বস‌লেও নির্যাতন বন্ধ হয়‌নি। আমি আমার সাধ্যমত যৌতুক দিয়েছি।

এ ঘটনার প‌রি‌প্রেক্ষি‌তে গত মঙ্গলবার ৯‌ ফেব্রুয়া‌রি আক‌লিমা‌ বেগমকের আবারও  মারধর ক‌রে ফরহাদসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এঘটনা নি‌য়ে গত ১০ফ্রেব্রুযারী বুধবার স্থানীয়ভা‌বে আবারো শা‌লিশ হয়। অথচ ওই রা‌তেই আমার মেয়ে আক‌লিমা‌কে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে  ফরহাদ ও তার বাবা বাবুল, মা সাহানারাসহ অন্যরা। তারা ক‌রে গলায় রশি লা‌গি‌য়ে লাশ ঘ‌রের ভিত‌রে রেখে পা‌লি‌য়ে‌ছে।

শম্ভুপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: বাবুল জানান, নিহত গৃহবধূ‌কে তার স্বামীসহ প‌রিবা‌রের সদস‌্যরা প্রায় সময় নির্যাতন কর‌তো। এসব ঘটনা নিয়ে আমরা অনেকবার শালিশী করেছি। তবে তা মেনে প্রায় সময় নির্যাতন করার প্রিপেক্ষীতে গতকাল  ১০ফ্রেব্রুয়ারী বুধবার পুনরায় আমরা শালিশীতে বসি। অথচ আজ সকালে খবর পেলাম আকলিমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে আকলিমার স্বামী একজন খারাপ মানুষ। এলাকার কোন মানুষ তাকেপছন্দ করতো না।

তজুমদ্দিন থানার ওসি এসএস জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,খবর পেয়ে দ্রুত লাশ উদ্ধার করেছি। তবে তার শরীরে বেশ কিছু দাগ পাওয়া গেছে। তবে বেশি কোন মন্তব্য করবো না ময়না তদন্তর জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরে বিষয়টি পরিস্কার হবে।

LEAVE A REPLY