টাকা, গহনা, সার্টিফিকেট নিয়ে ৩ বান্ধবী উধাও 

0
0

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। রাজধানীর পল্লবীতে কলেজ পড়ুয়া তিন বান্ধবী বাসা থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের গহনা,স্কুল সার্টিফিকেট ও মুল্যবান সামগ্রী নিয়ে উধাও হয়েছে। খুঁজে পাচ্ছেন না তাদের পরিবারের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি  বিদেশে নেওয়ার প্রলোভোন দেখিয়ে তাদেরকে প্রলোভিত করেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। এজন্য তারা বাসা থেকে মূল্যবান জিনিসগুলো চুরি করে পালিয়েছে।

 

 

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পল্লবীর ১১ নম্বর প্যারিস রোডের সি -ব্লক ১৮ নম্বর লাইনে ঘটনাটি ঘটে।

নিখোঁজ শিক্ষাথীর্রা হলেন কাজী দিলখুশ  জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার।

তারা প্রত্যেকে এইচ এস সি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দিলখুশ জান্নাত নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ ফাতেমা দুয়ারি পাড়া কলেজের শিক্ষার্থী।

 

 

শুক্রবার (০১ অক্টোবর) এ ঘটনায় কাজী দিলখুশ  জান্নাত নিসার মা মাহমুদা আক্তার পল্লবী থানায় একটি  লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে যাদের আসামি  করা হয়েছে, তারা হলেন   তরিকুল , রকিবুল ও জিনিয়া।  এর মধ্যে জিনিয়া টিকটকে পরিচিত মুখ। আর তরিকুল ও রকিবুল সহোদর।

অভিযোগে মাহমুদা  জানান, তার  মেয়ে নিসা ও মেয়ের দুই বান্ধবী কানিজ ফাতেমা ও স্নেহাকে বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘর ছাড়া করেছে একটি নারী পাচারকারী  চক্র। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বৃহস্পতিবার সকাল  ৯ টায়  সবাই  নিজ নিজ বাসা থেকে একসঙ্গে বের হয়। বের হওয়ার  সময় প্রত্যেকে বাসা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা, গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল ফোন সেট নিয়ে গেছে।

নিখোঁজ শিক্ষার্থী দিলখুশ  জান্নাত নিসার বড় বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ জানান, আমার বোন ও তার বান্ধীদের বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এজন্য তারা  বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সবাই  কলেজ ড্রেস পরে বের হয়েছে। কলেজের ব্যাগ ছিল সঙ্গে। আমাদের মহল্লার প্রতিবেশী তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে তরিকুল আমার বোনের সঙ্গে প্রায়ই কথা বলতেন। তরিকুল তাকে (নিসা)  বলতেন, সে অনেক বড় হ্যাকার। আর অনেক বড় কোম্পানির মালিক। আমেরিকা লোক পাঠায়। আমার বোন নিসা  বাসায় এসে  আমাকে বলেছে, আপু তরিকুল তোমাকে তার কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার পদে চাকরি দেবে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার  পর আমারা তরিকুলের বাসায় গিয়ে জানতে পারি সে ও তার  বড় ভাই রকিবুল বৃহস্পতিবার থেকেই বাসায় নেই। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ। জিনিয়া নামে তরিকুলের এক টিকটক বান্ধবী রয়েছে।  জিনিয়া আমার ছোট বোন ও তার বান্ধবীদেরও পরিচিত।  জিনিয়ার বাসায়ও গিয়েছি ওদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে। কিন্তু জিনিয়া  দেখা করেনি আর তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমরা  মনে  করছি  তরিকুল ও জিনিয়ার পরিবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা জানে আমার বোন ও তার বান্ধবীরা কোথায় আছে।

পল্লবী থানার (এসআই) উপ পরিদর্শক সজিব খান বলেন,  একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তরিকুলকে আটক করেছি। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পল্লবী থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি।

LEAVE A REPLY