চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।ভোলার চরফ্যাশনে শশিভূষন রহিমা ইসলাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক মানষিক প্রতিবন্ধি ছেলের সাথে বাল্য বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আঞ্জুরহাট দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক কাজি শফিকুল ইসলাম এবং ওই ছাত্রির মা সাহনুর বেগম এবং মামা খালেক সর্দারকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করা হয়েছে।
(১৮মার্চ) বুধবার সকালে ওই ছাত্রি জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নজরুল নগর ইউনিয়নের সারিকখালি গ্রামে তাদের বাড়িতে তার মতের বিরুদ্ধে নাবালিকা হওয়া সত্যেও জোর করে ঢাকা মিরপুর ১ লালকুঠি বাজারের শাপলা হাউজে বসবাসকারি মো.সেলিম মিয়ার মানষিক প্রতিবন্ধি ছেলে স্বপন (১৭) এর সাথে তাকে বিয়ে দেয় তার মা সাহনুর বেগমসহ মামা খালেক সর্দার,করিম আলি সর্দার,খালাত ভাই মহফেল গাজী ও ঘটক হানিফ সর্দার।
ওই ছাত্রি আরোও বলেন, আমার মামারা প্রতিবন্ধি স্বপনের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে আমাকে স্বপনের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। এবং আমাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ঢাকা লালকুঠির বাজারে প্রতিবন্ধি স্বপনের বাড়িতে নিয়ে যায়।
ওই ছেলের বাড়িতে আমার জ্ঞান ফিরে আসার পরে আমি ডাক চিৎকার দিয়ে কান্না করি পরে তারা আমার মা এবং মামি সায়েরার সাথে আমাকে (৭মার্চ শনিবার) চরফ্যাশনে পাঠিয়ে দেয়। আমি এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, দ্বাদশ শ্রেনীর ওই ছাত্রী ও তার দুলাভাই সাইফুল ইসলাম বিষয়টি আমাকে জানালে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ধারায় মামা খালেক সর্দারকে ১৫ হাজার তার মা সাহনুর বেগমকে ১০হাজার ও কাজি শফিকুল ইসলামকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করে স্থানিয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং বাল্য বিয়ের সাথে জরিত বাকিদের আটকের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।