চরফ্যাশন-প্রতিনিধি,ভোলানিউজ২৪ডটকম।।থানা পুলিশের “লব্ধ জ্ঞানে আত্মহত্যা” উল্লেখ করে চরফ্যাশন থানায় নাছরিন হত্যায় অপমৃত্যু মামলা নিলেও ৪২ দিন পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসায় গৃহবধূ খাদিজা নাছরিনের পরিবার অবশেষে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নাছরিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার তথ্য প্রমানের পরে গত শুক্রবার নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম রুবেল বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তা রুজু করে।
নিহত খাদিজা নাছরিন চরফ্যাশন সরকারী কলেজে অফিস কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন।
মামলার তথ্য বিবরণীতে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর পূর্বে পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল হোসেন দেওয়ানের ছেলে কামাল হোসেনের সঙ্গে খাদিজা নাছরিনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই কামাল ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুক দাবী করে আসছিলো। কামাল হোসেন ও তার পরিবারের দাবিকৃত যৌতুকের ওই টাকা না দেয়ায় খাদিজা নাছরিনকে কামাল ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতেন।
গত বছরের নভেম্বরের ২১ তারিখে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে খাদিজা নাছরিনের একটি নবজাতক শিশুর জন্ম হয়। পরদিন ২২ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড কালিয়াকান্দী গ্রামে নাছরিনের শ্বশুরালয়ে কামাল হোসেন দেওয়ানের বেডরুম থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় নাছরিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় টিভি চ্যানেলসহ স্থানিয় জাতীয় ও আঞ্চলীক পত্রিকার সংবাদকর্মীদের বলিষ্ঠ কন্ঠে নাছরিনের রহস্যজনক মৃত্যুকে সরাসরি আত্মহত্যা বলে জোর দাবী করেন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এটি আদৌতে আত্মহত্যা নয় বরং শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
খাদিজা নাছরিন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের হাদিস মিস্ত্রী বাড়ির ফারুক মিস্ত্রীর মেয়ে। এঘটনায় চরফ্যাশন থানায় (২৩ নভেম্বর) একটি অপমৃত্যু মামলা হলেও ঘটনার ৪২ দিন পরে মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে নিহতের পরিবার হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন শনিবার (২জানুয়ারী) দুপুরে জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌতুকের দাবিতে হত্যা ও সহায়তার অপরাধে কামাল হোসেনসহ ৬জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।