আসল জনসংখ্যার চেয়ে ফেসবুক জনসংখ্যা বেশি!

0
559

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। ঢাকার জনসংখ্যা কত? সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি ৮৯ লাখ। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কতজন? কতজন নিয়মিত ব্যবহার করেন ফেসবুক? শিশু-বৃদ্ধদেরও হিসাবের বাইরে রাখতে হবে। তবে জরিপ গবেষণা বলছে, ঢাকায় সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ! সারা বিশ্বে ঢাকা সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সামনে আছে শুধু ব্যাংকক। সেখানে সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারী ৩ কোটি। অথচ ব্যাংককের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার!

আসল জনসংখ্যার চেয়ে ফেসবুকের জনসংখ্যা কি তবে বেশি? এই প্রশ্নটা আবার উঠল। এবার যুক্তরাষ্ট্রের পিভোটাল রিসার্চ গ্রুপ হিসাব করে দেখিয়েছে, ফেসবুক যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিজ্ঞাপন দেখার যে হিসাব দেখিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সে অনুযায়ী আসল জনসংখ্যাই নেই দেশটিতে!
ফেসবুকে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এসব বিজ্ঞাপন কত মানুষ দেখছে, সে ব্যাপারে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারির পার্থক্য ধরা পড়েছে।
ফেসবুকের অ্যাড বায়িং ওয়েবসাইটের হিসাব বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৮-২৪ বছর বয়সী মোট ৪ কোটি ১০ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে ফেসবুকে দেখানো বিজ্ঞাপনগুলো। কিন্তু পিভোটাল রিসার্চ গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ব্রায়ান ওয়েইজার বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারিতে গত বছর ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১০ লাখ।
তাহলে এই তারতম্য কেন? ফেসবুকের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদমশুমারি অনুযায়ী তারা হিসাব করে না। তাদের ব্যাখ্যা, ‘একটি এলাকায় কী পরিমাণ মানুষ বিজ্ঞাপনটি দেখার সম্ভাব্যতা রাখে, তা হিসাব করেই এর নকশা করা হয়। আদমশুমারির সঙ্গে মিল রাখতে তা বানানো হয়নি।’ অর্থাৎ ফেসবুকের দাবি, একটি এলাকায় যে পরিমাণ মানুষ থাকে বলে আদমশুমারির হিসাবে উঠে আসে, প্রকৃতপক্ষে সেই শহরে আরও বেশি লোক অবস্থান করতেই পারে। অনেকে হয়তো বাইরে থেকে এল। আবার ফেসবুকে অনেকে নিজেদের সঠিক বয়স উল্লেখও করে না। এতে হিসাবের তারতম্য হয়।
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ৫৬ লাখ মানুষ ভ্রমণ করতে এসেছিল বাইরে থেকে। কিন্তু তবু কোথাও শুভংকরের ফাঁকি নিশ্চয়ই আছে। ঢাকার ফেসবুক ব্যবহারকারী এর বড় উদাহরণ।
ফেসবুকের হিসাব নিয়ে গরমিল নতুন নয়। গত বছর ফেসবুক বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিল। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কতটা সময় অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখেন, সেই হিসাব ঠিক ছিল না বলে প্রমাণিত হয়। সূত্র: রয়টার্স, হুটসুট।

LEAVE A REPLY