আগামী নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ: প্রধানমন্ত্রী

0
363

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। মানুষ তার পছন্দমতো লোককেই নির্বাচন করবে। আমরা সেটাই চাই। নির্বাচন প্রক্রিয়া আমরাই উন্নতি করেছি। আমরা যে কাজ করেছি, তাতে যদি জনগণ খুশি হয় ভোট দেবে, না হলে দেবে না। যা দেবে তাই আমরা মেনে নেব। নির্বাচন কমিশন এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। আজ নির্বাচন যত সুষ্ঠু হচ্ছে, মানুষ ভোট দিতে পারছে- এটা আমাদের অবদান। ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছেন, তারাই নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে ধ্বংস করেন। আমরা দিনের পর দিন আন্দোলন-সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক ধারাটা আবার ফিরিয়ে এনেছি।

আগামী নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, নির্বাচন অবশ্যই অবাধ নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে নির্বাচন কমিশন। তারাই সব করবে। আমাদের সরকারের আমলে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, প্রত্যেকটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেতো বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন যদি আমাদের আমলে নাই হতো, তাহলে কি বিএনপি জিততে পারত? বিএনপির আমলে কি কেউ জিতেছে?

সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেন মিয়ানমার সরকার ফিরিয়ে নিয়ে যথাযথ নিরাপত্তা দিয়ে রাখে সেই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের পরামর্শ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার কথাটা স্পষ্ট, যারা মিয়ানমার থেকে এসেছে তাদেরকে সসম্মানে ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তারা যেন ভালোভাবে ফিরে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমার সরকারের ওপর যেন সেই চাপটা দেয়া হয়, যেন তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এটাই হচ্ছে মূলত আমার কথা। আর দ্বিতীয়তটা হচ্ছে, যেহেতু সেখানে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তারপর তারা আশ্রয় চেয়ে আমাদের এখানে চলে এসেছে। মানবিক কারণে আমরা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছি।

এখানে ছোট ছোট শিশু, মহিলা, বয়োবৃদ্ধ চলে এসেছে। এদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘরবাড়ি পোড়ানো হয়েছে, মানুষ হত্যা করা হয়েছে।

কেউ হয়তো দাদা-দাদির সঙ্গে চলে এসেছে। একেবারেই অমানবিক অবস্থা। এ অবস্থায় আমরা তাদের আশ্রয় দিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর আরও বেশি চাপ দিক, যেন তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তাদের পুনর্বাসন করে এবং নিরাপত্তা দেয়।

মিয়ানমার সংক্রান্ত এসব বিষয়সহ আরও অনেক বিষয় জাতিসংঘের ভাষণে বলেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কফি আনানের সুপারিশগুলো মিয়ানমারকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় শরণার্থী সমস্যার বিষয়টি উল্লেখ করেন বলেও জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আঞ্চলিকভাবে বড় শক্তি ভারত এবং চীন। এ ইস্যুতে তারা কেমন সহযোগিতা করছে। এর উত্তরে ভয়েস অব আমেরিকাকে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত এ ব্যাপারে খুবই সহানুভূতিশীল। তারা সহযোগিতা করছে।

চীনের কাছ থেকেও আমরা সে ধরনেরই সাড়া পাচ্ছি। জাতিসংঘ মহাসচিবও বলেছেন, এ ব্যাপারে তাদের যা যা করা প্রয়োজন, তারা তা করবেন। শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য একটি দ্বীপ এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র করে দেয়া হবে। তাদের জন্য সাইক্লোন সেন্টার, স্কুল করে দেয়া হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

আমি ওআইসিকে বলেছি, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমরা মানবকল্যাণ চাই। মানবতাবিরোধী কাজ আমরা চাই না। তবে অভিবাসী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো উচিত বলে আমি মনে করি।

LEAVE A REPLY