অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন- পৈত্রিক জমি থেকে উৎখাতের অভিযোগ

0
248

হেলাল উদ্দিন,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।।  ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের চর ছোট লামছীধলী মৌজার বিবাদমান জমি দখল ও উৎখাতের জন্য অসহায় দুই নারী ও তার পরিবারকে হুমকী-ধামকী, মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানী করছেন একই মৌজার বাসিন্দা নুরুল হক। নুরুল হক ক্রয় সূত্রে জমির মালিকার দাবি করছেন। গত শুক্রবার বিকালে ভোলার দৌলতখান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মহুজা খাতুন (৪৫) এমন অভিযোগ করেন।
তিনি লিখিত ও মৌখিক অভিযোগে বলেন, দৌলতখান উপজেলার চর ছোট লামছীধলী (খতিয়ান নং-৪২, দাগ-১৯৩/২৩৪) মৌজার এক একর ৮শতাংশ জমির মালিক তাঁর পূর্ব-পুরুষ। এ জমি নিয়ে স্থানীয় মরহুম আ. রশিদ হাওলাদারের সঙ্গে মহুজা খাতুনের বাবা আলী আহম্মদের বিরোধ ও মামলা চলমান ছিল দীর্ঘদিন। সেই মামলায় আলী আহম্মদ পক্ষ রায় পান। আলী আহম্মদ মারা গেলে (পৈত্রিক সূত্রে) তাঁর ছেলে মৃত মোজাফ্ফর আহম্মদ, মেয়ে মহুজা খাতুন(৪৫) ও নবিসা খাতুন(৪০) জমির মালিক হন। কিন্তু আ. রশিদ হাওলাদার মৃত্যুর আগে (২০০৮সালে) ওই জমি নুরুল হকের কাছে বিক্রি করে যান। সেই দলিল বলে নুরুল হক তাঁদের পৈত্রিক জমি দখলের পায়তারা করছেন। তাঁদেরকে জমি থেকে উঠে যাওয়ার জন্য হুমকী-ধামকী দিচ্ছেন। তাঁর ভাতিজাকে এলাকা ছাড়া করেছেন। থানায় মামলা দিয়ে তাঁকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়েছেন এবং তাঁদের পরিবারের সকলকে আসামী করেছেন। ওই দখলকৃত জমিতে মাটি ফেলে জমি ভরাট করছেন।
মহুজা বলেন, তাঁদের দুই বোনের স্বামী ভাঙন কবলিত ও অসুস্থ্য। বাড়িতে শুয়ে থাকেন। তাঁরা নিজেরা অন্যের  বাড়িতে কাজ করেন এবং সন্তানেরা গার্মেন্টসে কাজ করে কোনো মতে সংসার চালান। এ অবস্থায় নুরুল হক স্থানীয় সালিশদের টাকা-পয়সা দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে তাঁর পক্ষে রায় নিচ্ছেন। তাঁদের পক্ষে কেউ নেই। তাঁদের পৈত্রিক জমি থেকে উঠিয়ে দিলে তাঁদের পথে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
নুরুল হক বলেন, মহুজা, নাবিসার বাবা আলী আহম্মদ ৬৮ শতাংশের রায় পেয়েছে। রায় পাওয়ার পরে জীবদ্দশায় ৫৭ শতাংশ বিক্রি করে গেছেন।  বাকী থাকে ১১শতাংশ। ওই জমির চেয়ে বেশি জমি তাঁদের(মহুজা-নাবিসা) দখলে আছে।
নুরুল হক আরও বলেন, তাঁরা কারও জমি দখল করেননি, দখল করার জন্য কাউকে হুমকী-ধামকীও দেননি। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারী সকাল ৮টায় তাঁদের ক্রয়কৃত জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে মহুজা-নাবিসারা দল বেঁধে হামলা করে। তাঁদেরকে আহত করে খুন-জখমের হুমকী দেয় । এ ঘটনায় তাঁরা দৌলতখান থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন; যা পরবর্তীতে মামলায় রূপ নিয়েছে।

LEAVE A REPLY