বিজয়ের হাসি মুকুল ও শাওনের

0
456

মো: আফজাল হোসেন ।। নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকতে দলীয় মনোনয়ন পত্র পেতে দৌড়ে অনেকেই অংশগ্রহন করলেও শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি মুকুল আর শাওনের মুখেই। বিজয়ে আনন্দ উল্লাস বইছে ভোলা-২ এবং ৩ আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে।

আগামী ৩০ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলা-২ এবং ভোলা-৩ সংসদীয় আসন ছিলো ভোলা জেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কে পাচ্ছেন এই দুটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র। জল্পনা আর কল্পনার শেষ ছিলো না। একাধিক প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে দৌড়ে অংশগ্রহন করেন। চলে ফেবুতে আলোচনা আর সমালোচনার ঝড়। সমর্থকরা সরগম থাকেন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে। যে যার মত করে তুলে ধরেন তার প্রার্থীর পক্ষে যুক্তি। শেষ সময় এসে ভোলা-৩ আসনের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিষয়টি স্পস্ট হলেও অস্পস্ট ছিলে ভোলা-২ আসনের বিষয়টি। তবে শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন বতর্মান এমপি আলী আজম মুকুল। ব্যাপক উন্নয়ন আর অসহায়দের দোয়া ছিলো তার সাথে। অসহায় হতদরিদ্র এসব মানুষের দোয়ায় তিনি একবার মৃর্ত্যুর কাছ থেকে ফিরিয়ে এসেছেন আল্লাহর হুকুমে আর তাদের দোয়ায় সর্বজন শ্রদ্ধার মানুষটি আবারো বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন সকলকে পিছনে ফেলে।

আজকের মনোনয়নপত্র হাতে পেয়ে বিজয়ের হাসি হাসলের ভোলা-২ আসনের বর্তমান এমপি আলী আজম মুকুল। সকল যল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনেন ভোলা-২ থেকে আলী আজম মুকুল আর ভোলা-৩ আসনের বর্তমান এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এর ফলে আগামী দিনে দলের পক্ষে নেতৃত্ব দেয়ার ধারা অব্যাহত রইলো।

আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দুটি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদেরকেই বেছে নেন। নৌকা তুলে দিলেন মুকুল আর শাওনের হাতে। এর ফলে ভোলার ৪টি সংসদীয় আসনে সাবেক এমপিদের হাতেই রইলো নৌকা।

এদিকে এখবর নির্বাচনী এলাকা লালমোহ,তজুমদ্দিন এবং দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনবাসীর কাছে পৌছলে আনন্দ উৎসব। তাদের দীর্যদিনের দাবী পুরন হয়েছে বর্তমান এমপিদের হাতে নৌকা তুলে দেয়ায়।

ভোলা-১ এবং ভোলা-৪ আসন নিয়ে কোন চিন্তা ছিলো না দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। কারন ভোলা সদর আসনের প্রার্থী হচ্ছেন নমিনেশন বোর্ডর মেম্বার,৬৯ এর অন্যতম নেতা,বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ বাংলাদেশের সম্পদ সফল একাধিকবার মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে কাছের মানুষ বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি। যিনি ভোলাকে মনের মত করেই সাজাচ্ছেন বহু আগ থেকেই। ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ। মা ভক্ত এই মানুষটি গড়ে তুলেছেন ভোলাকে আধুনিক জেলা হিসেবে। মায়ের মত ভালোবাসেন নিজ জেলাকে। তার কাছে ভোলার সব আসনই যেন তার নির্বাচনী এলাকা। সকল এমপিরা তার কাছে সন্তানের মতই। এমনটা ভেবেই একসাথে তার সন্তানদের সাথে নিয়ে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন।

অপরদিকে ভোলা-৪ আসনের নৌকার মাঝি হচ্ছেন বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী বর্তমান এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। একাধিকবার এমপি হওয়া আর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক উন্নয়ন তাকে এগিয়ে রেখেছে অনেক আগেই। তার বিপক্ষে আওয়ামী লীগ এর কোন প্রার্থী ছিলো না ভোলা-৪ আসনে। যে কারনে তার বিষয় কোন টেনশন ছিলো না চরফ্যাশন-মনপুরার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। অপ্রতিরোধ্য এই মানুষটি নৌকার মাঝি দলের হাল ধরে আছেন বহু আগ থেকেই।

LEAVE A REPLY