বিএনপির সঙ্গে সংলাপের আর সুযোগ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সে পথ বিএনপি রুদ্ধ করেছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গতকালকের ঘটনায় সংলাপের পথ একেবারেই রুদ্ধ হলো কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদের সঙ্গে সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। সে পথ বিএনপি রুদ্ধ করেছে।
আগ বাড়িয়ে আমরা কোনো সংলাপ করবো না। তারা যে ৪টি শর্ত দিয়েছে তা মানা সম্ভব নয়।
বিএনপির এই নাশকতাকে আওয়ামী লীগ কিভাবে দেখছে? এর জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান আগেই পরিষ্কার করেছি। আমরা কারো সঙ্গে সংঘাতে যাবো না।
আমরা সংঘাত কেন করবো। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এজন্য আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছি। তারা আমাদের ওপর হামলে পড়লে পরিস্থিতি যা বলবে তাই করবো। এখনো বিএনপিকে বলবো, এই সহিংসতার পথ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে আসুন। ক্ষমতার পরিবর্তন যদি আপনারা চান, তাহলে নির্বাচনে আসুন। যেখানে সরকার প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনের নামে নির্বাচন প্রক্রিয়া আপনারা ভণ্ডুল করবেন সেটা হবে না।
নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির আসার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তারা কিভাবে সরকারে অংশ নেবেন। সবাইতো পদত্যাগ করেছেন। সরকারে অনির্বাচিত কেউ আসার সুযোগ নেই।
গতকাল রাজনৈতিক সমাবেশে যে সহিংসতা হয়েছে, এরপর সরকার এই ধরনের জনসমাগমের আর সুযোগ দেবে কি না? এর জবাবে তিনি বলেন, রাস্তায় সমাবেশ না করা, এটা আমাদের নীতি। দু’একটি ছাড়া সবগুলোই আমরা মাঠে করেছি। তবে খুব কম আমরা রাস্তায় সমাবেশ করেছি। তাছাড়া আমরা সমাবেশগুলো আমাদের পার্টি অফিসের সামনে করি।
জামায়াতের সঙ্গে আপসের সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সরকার জামায়াতের বাঘা বাঘা নেতাদের বিচার করলো সেখানে সরকারের সততা নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাহজাহান খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও আহমেদ হোসেন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকীয় ও সদস্যসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।