তজুমদ্দিনের চর দখলে নিতে সংঘর্ষ আহত ১৫

0
525

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥ ভোলার তজুমদ্দিনের বিচ্ছিন্ন চর মোজাম্মেল দখলে নিতে হেলাল মেম্বার ওরফে ডাকাত হেলাল বাহিনীর ক্যাডাররা অস্ত্রের মুখে চরের ৯ বাসিন্দাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৬ টায় অপহৃতদের মৌলভীর চর নামক এলাকা হতে উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার ভোররাত ৪টার দিকে এ হামলা ও অপহরণের ঘটনা ঘটে।
চরের বাসিন্দা সালাউদ্দিন ও ইমাম হোসেন জানান, হেলাল মেম্বারের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি সশস্ত্র বাহিনী শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ট্রলার যোগে চরের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে আসে। সেখান থেকে মাইকে চর দখলে নেয়ার ঘোষনা দেয়। একপর্যায়ে তারা পাশ্ববর্তী শের-ই-বাংলা আবাসন প্রকল্পে হামলা চালিয়ে সেখানে অবস্থানরত জাফর মাঝি (৪০), নিরব (৩৮), সাহাবুদ্দিন (৩০), শরীফ (৩২) ও ফরিদকে (৩০) কুপিয়ে জখম করে। আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বাজারে নুরুল হক (২৮), আনোয়ার (৩৫), হোসেন (২৪) ও দুলাল (২৫) সহ কয়েকজন এগিয়ে আসে। হামলাকারীরা তাদের এলোপাতাড়ি মারধোর ও কুপিয়ে আহত করে। এসময় হেলাল ও তার বাহিনী আহত ৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। চরের মুক্তিযোদ্ধা বাজারের শের-ই-বাংলা আবাসন প্রকল্পে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে আরো অন্তত ১৫ জনকে আহত করেছে। আহত মনির পাটওয়ারী, বেলায়েত মাঝি, হোসেন ডাক্তার, মিলন ও মনির কাজিনাম জানা গেছে। তারা বর্তমানে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে ওসি ফারুক আহম্মেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযানে থাকার কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।তবে এসআই আনোয়ার এবিষয়ে জানান, পুলিশ সকাল ৭ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৬ টায় অপহৃতদের মৌলভীর চর নামক এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতরা হলেন, জাফর মাঝী, নিরব, শরীফ, হোসেন, দুলাল, শাহাবুদ্দিন, আনোয়ার, নুরুল হক ও ফরিদ। এদের মধ্যে জাফর মাঝি ও শরীফ আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনির পাটওয়ারী জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে হেলাল মেম্বারসহ ৪০-৫০ জন অস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় তাদের কয়েকজনকে বাসা ও দোন থেকে ডেকে এনে বাজারে এনে এলোপাতাড়ী মারধোর করে হাত পা বেঁধে রাখে। হোসেন ডাক্তার জানান, এসময় জাফর, শরীফ ও নিরবকে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় বাজারে নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষন পরই ৯-১০ কে চোখ বেঁধে নদীর ঘাটের দিকে নিয়ে গেলে অন্যান্যরা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে চরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা আশংকা করছেন চরের মানুষ।

LEAVE A REPLY