চলছে ভোটের মৌখিক হিসাব

0
455

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রচারণার বাকি আছে ৪৮ ঘণ্টা। প্রচারণার তুখোড় শব্দের ফাঁকে ভোটের অংক কষছেন সিটি কর্পোরেশনের ভোটাররা। কোনো প্রার্থী, কিভাবে, কত ভোট পেতে পারেন চলছে তার মৌখিক হিসেব-নিকেশের সমীক্ষা। ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন দলের তিন প্রার্থীর মধ্যে তুলনামূলক কমবেশি প্রতিযোগিতা হবে। তবে, তৃণমূলের কিছু ভোটারের বিশ্বাস, ‘ভোটের অংক বড় কথা নয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভোট হলেও সরকারি দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হবে।’ রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটারদের এমন কথা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। ভোটাররা ভোট প্রদানের উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারে।

রোববার সিটির কয়েকটি ওয়ার্ডের ভোটারদের সাথে কথা বলে কোথাও সরল আবার কোথাও কঠিন ভোট অংকের কথা শোনা গেছে। তবে আভাস পাওয়া যাচ্ছে ত্রিমুখী তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার। কে বেরুতে পারে? কে হাসবে শেষ হাসি? কে হবেন সিটির মেয়র? তুমুল অংক কষেও ভোট সমীক্ষার শেষ ফলাফল বের করা যাচ্ছে না। নিজস্ব ভোটের বিন্যাসে বিজয়ের আশা করছেন তিন মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা। সিটির দ্বিতীয় এ নির্বাচনটি দলীয় প্রতীকের। এবার মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৬ হাজার ২৫৬ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন। পুরুষের চেয়ে এক হাজার ৩৮২টি নারী ভোট বেশি। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯৩টি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর সমর্থকরা নিজস্ব ভোট ব্যাংক সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা নিজস্ব ভোটের বিন্যাসে বিজয়ের আশা করছেন। তারা মনে করেন, তাদের প্রার্থী ঝন্টু ‘ইলেকশন উইন্যাবল হিরো’। বিভাগসহ রংপুর সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। রংপুরের দৃশ্যমান উন্নয়ন এসেছে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে। তাই রংপুরবাসী একজোট হয়ে উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবেন। এ ছাড়া নিজস্ব ভোট ব্যাংক ও একটি সম্প্রদায়ের ভোটকে দখলে রাখতে সব তথ্য গোপন রেখে মনিটরিং টিম বাড়াচ্ছেন তারা। ঝন্টু শিবিরের বিশ্বাস, জনগণের গণজাগরণ ক্রমাগত নৌকার প্রতীকের দিকে ঝুঁকে আসছে। এবার একটি সম্মিলিত ভোট বিপ্লব হবে।

এদিকে, বিএনপির কাওসার জামান বাবলার সমর্থকরা মাঠে প্রচণ্ডভাবে তৎপর রয়েছেন। তারা এক বাক্যে বলেন, জয় হোক, পরাজয় হোক আমরা মাঠে আছি। ফাইট করতে হবে। তাই নির্বাচন ময়দান দাপিয়ে বেড়াচ্ছি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দেয়া জনতার বিপুল ভোট তাদের ঝুড়িতেই আসবে। এছাড়া বিচক্ষণ তরুণ ও নতুন প্রজন্মের ভোট তাদের জন্য রিজার্ভ আছে।

অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সমর্থকরা বলছেন, এবার লাঙ্গলের পক্ষে ভোটের জোয়ার পুরো সিটিজুড়ে এসেছে। ১৯৯০ ও ৯৬ সালে লাঙ্গলের যে জোয়ার উঠেছিল এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। সময়মতো বিজয়টি ঘরে তুলে নিলেই হয়। এরশাদ, লাঙ্গল, রাঙ্গা ও মোস্তফা ইমেজ ভোটের মাঠে পজেটিভ প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করেছে। যা বিজয়ের জন্য সহায়ক হবে। এবার লাঙ্গলের পক্ষে নীরব ভোট বিপ্লব হবে। ২১ ডিসেম্বর সারাদিন ভোট গ্রহণের পর মধ্য রাতে ঘোষিত ফলাফলই বলে দেবে শেষ হিসেব।

LEAVE A REPLY