ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। নরসিংদীর সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সৈকত হত্যা মামলায় সোবহান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সৈকত হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার নরসিংদীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের এক বিচারকের খাস কামরায় জবানবন্দি দেন সোবহান। তাঁর বাড়ি নরসিংদী শহরের পশ্চিম দত্তপাড়া এলাকায়। সৈকত হত্যাকাণ্ডে আরো নয়জন জড়িত ছিলেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রুপন কুমার সরকার জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণের যুবলীগ নেতা সৈকতের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু ও সহযোগীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন। এই রোষানলে নরসিংদী পৌরসভা সংলগ্ন সিটি সেন্টারের ১৬ তলা ছাদে গত ২৬ মার্চ দুপুরে তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়। সৈকতকে ছাদে দড়ি দিয়ে উল্টো করে লটকে রাতভর পেটানো হয়। একপর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সৈকত। পরে তাঁর মরদেহ শিবপুরের পুড়ান্দিয়া এলাকায় ফেলে রেখে আসেন তাঁরা। ২৭ মার্চ সকালে শিবপুর থানা পুলিশ সৈকতের লাশ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো সাত-আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার সোবহানকে গ্রেপ্তার করে জেলা ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সৈকত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। এরই মধ্যে একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সহসাই এই খুনের নেপথ্যের নায়কদের গ্রেপ্তারসহ মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।