ইসি সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের শাস্তির দাবি বিএনপির

0
324

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ চারজনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এই চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে সই করেছেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিঠিটি সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছেও দিয়েছে বিএনপির প্রতিনিধি দল।

চিঠিতে বিএনপি দাবি করেছে, নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি মানার নামে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে একটি চিঠি দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে ইন্ধন জুগিয়েছে।

এজন্য শুধু ইসি সচিব নয়, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ও ডিএমপির মতিঝিল জোনের উপকমিশনারেরও শাস্তি চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে। পরের দিন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাস্তা বন্ধ করে যানজট সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র বিতরণ করে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মোটরসাইকেল, গাড়ি পিকআপসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ধানমণ্ডি যায় এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে। এছাড়া নিজেদের প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়। এসব ঘটনায় পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কিন্তু বিএনপির মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে স্বতঃস্ফূর্ত জনগণের ঢল দেখে নির্বাচন কমিশন সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের গায়ে জ্বালা ধরে। কমিশন নড়েচড়ে  বসে। কথিত আচরণবিধির খড়গ নেমে আসে বিএনপির ওপর। ইসি সচিব গণমাধ্যমে আচরণবিধি পালনের কঠোর হুমকি দিয়ে সেটিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে চিহ্নিত করেন। এটি একটি পক্ষপাতমূলক আচরণ। ওই হুমকির পর ‌এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১৩ নভেম্বর ডিএমপিকে চিঠি দেয় ইসির যুগ্ম সচিব। চিঠি দিয়ে আচরণবিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থকসহ জনগণের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দেওয়া বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানের বক্তব্যে ঘটনা সংঘটনের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

বিএনপির চিঠিতে প্রশ্ন রাখা হয়, আওয়ামী লীগের জনসমাগমে এই ঘটনা ঘটেনি কিন্তু বিএনপির সময় ১৪ নভেম্বর এ ঘটনা কিভাবে ঘটল?

চিঠিতে দাবি করা হয়, এই সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ৪৭২ জন নেতাকর্মীকে আসামি করেছে। ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ৩৮ জন নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের চিঠির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির চরম বিঘ্ন সৃষ্টি, নিরাপরাধ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে সরাসরি ইন্ধন যুগিয়েছে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের সচিব, ডিএমপি কমিশনার, মতিঝিল জোনের উপপুলিশ কমিশনার এবং উদ্দেশ্যমূলক জারিকৃত পত্রের স্বাক্ষরকারী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিবের (নির্বাচন পরিচালনা-২) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আইনের আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হব।

LEAVE A REPLY