স্বস্তি ফেরালেন সাকিব

0
1

খেলাধুলা ডেক্স :: ১৭২ রানের বিশাল লক্ষ্য। তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে নাসুম আহমেদকে দলে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের আস্থা রেখেছেন নাসুম। কুশল পেরেরাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি।

দলীয় দুই রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৩ বলে ১ রান করে বিদায় নিয়েছেন ওপেনার কুশল পেরেরা। শুরুর ধাক্কা সামলে অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ছয় ওভারে ৫৪ রান তুলেও ফেলেছিল লঙ্কানরা। এর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরালেন সাকিব। একই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

আজ রোববার টসে হেরে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রান সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম। ৩৭ বলে ৫৭ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেছেন মুশফিক।

শারজাহতে ব্যাটিংয়ের শুরুটা বেশ সাবধানী করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে বাংলাদেশি ওপেনাররা নিতে পেরেছেন কেবল দুই রান। প্রথম বাউন্ডারি আসে দ্বিতীয় ওভারে, লিটন দাসের ব্যাট থেকে। এরপর থেকে হাতখুলে খেলার চেষ্টা করে লাল-সবুজের দল। সুত্র এনটিভি

লম্বা সময় ধরে ওপেনিংয়ের ব্যর্থতা কিছুটা হলেও মিটেছে। ওপেনিং জুটিতে আসে ৪০ রান। ষষ্ঠ ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙেন লাহিরু কুমারা। লঙ্কান পেসারের বল ক্রিজ থেকে বেরিয়ে জায়গা বানিয়ে অফ ড্রাইভ খেলেন লিটন। কিন্তু তেমন জোর দিয়ে মারতে পারেননি। একটু লাফিয়ে উঠে ক্যাচ নিয়ে ফেলেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। দুই বাইন্ডারিতে ১৬ বলে ১৬ রান করে আউট হন লিটন।

ওয়ানডাউনে নেমে থিতু হতে পারেননি সাকিব আল হাসান। অষ্টম ওভারে তাঁকে বোল্ড করেন চামিকা করুনারত্নে। লঙ্কান বোলারের লেংথ বরাবর ডেলিভারিতে পুল শট খেলতে চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। কিন্তু পারলেন না। বল গিয়ে আঘাত করে স্টাম্পে। দুই বাউন্ডারিতে সাত বলে ১০ রান করেন বিদায় নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

তবে দুই সতীর্থ ফিরলেও ততক্ষণে উইকেটে থিতু হয়ে যান নাঈম। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বাধেন নাঈম। এই উইকেটে রানের গতি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ।

এর মধ্যে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৪ বলে ব্যাক্তিগত হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন নাঈম। বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলেই দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেলেন তরুণ এই ওপেনার। ভয়ংকর হয়ে ওঠা নাঈমের প্রতিরোধ ভাঙেন ফার্নান্দো। ১৬.১তম ওভারে সহজ ক্যাচ তুলে দেন নাঈম। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে নাঈমকে সাজঘরের পথ দেখান ফার্নান্দো। ছয় বাউন্ডারিতে ৫২ বলে ৬২ রান করে ফেরেন নাঈম।

নাঈম ফিরলেও উইকেটে দারুণ ছন্দে ছিলেন মুশফিক। ৩২ বলে তুলে নেন ব্যাক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম। দীর্ঘদিনে রানে না থাকা মুশফিক ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন তিনি। ইনিংস শেষে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

LEAVE A REPLY