ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে বগুড়া সদর থানায় দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন হিরো আলম। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম জানান, তার স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমির বাবা সাইফুল ইসলাম খোকন মামলায় উল্লেখ করেছেন, দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে হিরো আলম তার স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার দু’দফা সে তার স্ত্রীকে মারধর করে। বর্তমানে তার স্ত্রী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় দায়ের মামলায় রাতে হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
থানা হেফাজতে থাকা হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামি যৌতুকের দাবি করছি তার তো স্বাক্ষী-পোরমান থাকা লাগবি।
এতদিন যৌতুক দাবি করলামি না, ১০ বছর পর যৌতুক দাবি করলাম হামি?’
শারীরিক নির্যাতনের কথা স্বীকার করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আলোচনায় আসা হিরো আলম বলেন, ‘হামার স্ত্রীর সাতে পারিবারিক সমস্যা এইজন্নি দুই-চারডে চড়-থাপ্পর মারছি হামি। সে অন্য ছেলের সাতে কথাবাত্তা কয় এডে পারিবারিকভাবে বন্দ করার চেষ্টা করছি’।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিরো আলমের স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমি জানান, দুই মাস পর গত সোমবার রাতে হিরো আলম বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া গ্রামে তার বাড়িতে আসেন। বাসায় ফেরার পর থেকে বিছানায় শুয়ে একটানা তিন ঘণ্টা মোবাইল ফোনে ঢাকার এক নারীর সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম। এর প্রতিবাদ করলে সোমবার রাতেই তাকে বেদম মারপিট করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, হিরো আলম ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এ কারণে বগুড়ায় থাকা স্ত্রী-সন্তানের কোনো খবর রাখেন না এবং সংসার খরচ দেন না। এর প্রতিবাদ করায় আগেও তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন হিরো আলম।
হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তার মেয়েকে আবারো নির্যাতন করছে খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। মারপিটে তার মেয়ে সুমির মাথার পেছনে রক্তাক্ত জখম হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ কারণে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছি।