ভোলা নিউজ২৪ডটনেট। । সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু একটা দাবি তুললেই হয় না, সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করলে অবসরের বয়স করতে হবে ৬২ বা ৬৫। তখন পদখালি হবে না, নতুন চাকরিই দেয়া যাবে না। তাহলে আমরা যাবটা কোনদিকে?
মঙ্গলবার প্রধান বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অন্তত ৩২ করার সুপারিশ করলে এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবি বাস্তবসম্মত নয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৩৫ বছর বয়সে চাকরিতে প্রবেশ করে ট্রেনিং নিতে নিতে বয়স ৩৮ বছর হয়ে যাবে। ৩৮ বছরে যে চাকরিতে প্রবেশ করবে সে ২২ অথবা ২৩ বছর চাকরি করতে পারবে। সে কিন্তু পূর্ণ পেনশন পাবে না। তাই এমন দাবি তো বাস্তবসম্মত নয়।’
সংসদে সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৩৮ বছর বয়সে কেউ চাকরিতে ঢুকবে আবার কেউ কেউ ২২ বছর বয়সে একই চাকরিতে ঢুকবে। এটা কি কেউ চিন্তা করছে যে, কত বছর পার্থক্য নিয়ে এই দুইজন একসঙ্গে চাকরিতে ঢুকবে?’
এ সময় ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের সবচেয়ে বেশি মেধা, কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতা থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পূর্ণ পেনশন পাওয়ার বিষয়টিও সামনে আনেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ ২৪-২৫ বছরে যারা চাকরিতে ঢুকছে তারা অবসরে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অবসরে যাওয়ার বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করা হয়েছে। যে ৩৮ বছরে চাকরিতে ঢুকবে সে ২২ অথবা ২৩ বছর চাকরি করতে পারবে। সে কিন্তু পূর্ণ পেনশন পাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ালে তারপর আবার বলা হবে অবসরের বয়স বাড়ানো হোক। অবসরের বয়সসীমা বড়ানো হলে নতুন চাকরি দেয়া যাবে না।’
চাকরির বয়স বাড়ানো নিয়ে যারা আন্দোলন করে তাদের এসব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সেশনজট অনেকটাই কমিয়ে এনেছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সেশনজট রয়েছে। সেটাও যাতে না হয় সে ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা সরকার গঠন করার পর কোনোবারই পিএসসির পরীক্ষা স্থগিত রাখিনি। নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে এবং সবাই চাকরিতে ঢুকতে পারছে।’
সে হিসাবে ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।