ভারত জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে গেলেও আলোর অপরপাশে রয়েছে ঘুরঘুট্টি অন্ধকার। এখনও দেশটির বিশাল জনগোষ্ঠী স্বাস্থসম্মত টয়লেট ব্যবহার করে না। মাঠে-ঘাটে-বনে-বাদারে মলত্যাগ করার অভ্যাস তারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহন করে চলছে। এমনকী টয়লেট ব্যবহার করাকে তারা ‘অশুচি কাজ’ হিসেবেও দেখে থাকে! যে কারণে সরকার বিনা খরচে টয়লেট তৈরি করে দিতে চাইলেও মানুষের অনাগ্রহে সম্ভব হচ্ছে না!
২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে প্রকাশ্যে মলত্যাগ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর গত বুধবার তিনি দাবি করেন, ভারতে এখন আর কেউ প্রকাশ্যে মলত্যাগ করেন না। গত ৫ বছরে ১১০ মিলিয়নের বেশি টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই বক্তব্যের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন। এদিকে গত ৬দিন আগে ডয়চে ভেলের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মলত্যাগের দৃশ্য!
বাস্তবতা হলো, বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ আর উত্তর প্রদেশের অর্ধেক মানুষ এখনও প্রকাশ্যে খোলা স্থানে মলত্যাগ করে। এমনকী রাজধানী নয়াদিল্লির দুই নারী জানিয়েছেন, তারা এখনও প্রকাশ্যে মলত্যাগ করতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন! নিম্মবিত্ত পরিবারের ওই নারীদের কলোনিতে কোনো টয়লেট নেই। পাবলিক টয়লেটে গেলে টাকা লাগে। তাই ভোরবেলা উঠে তারা জঙ্গলে চলে যান।
দেখুন সেই ভিডিও :