নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাম জামে মসজিদের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত ৩৮ জন জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। দগ্ধদের বেশিরভাগেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাজমুল হোসেন জানান, রাত ৯টা থেকে একের পর এক রোগী আসছিল। তাদের সবার নাম লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। যেসব রোগী এসেছে তাদের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ জন এসেছিল। তাদের কয়েকজনের শরীরে ৯৯ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে মসজিদের সামনের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের এসিও বিস্ফোরণ ঘটে।
এ সময় মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় মসজিদে থাকা মুসল্লিদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকেন। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লিদের চিৎকার। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মসজিদটিতে দেড় থেকে দুই শ মুসল্লি এশার নামাজে অংশ নেন। জামাত শেষে মুসল্লিরা যখন সুন্নত নামাজ আদায় করছিলেন তখন একটি এসি বিস্ফোরিত হয়। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হন।
সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু জানান, ঘটনার পর দগ্ধ রোগীরা ১০০ শয্যা হাসপাতালে আনা হলেও একজন রোগীকেও ধরে দেখা হয়নি। তাদের হাসপাতালের ফ্লোরে বসিয়ে রাখা হয়। পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
তিনি আরো জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ভেতরে একের পর এক লোকজন পড়ে আছে। ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা গরম তেল ভেতরে পড়ে। সেখানে লোকজনের ওপর পড়ে তাদের সকলেই দগ্ধ হয়।