চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলার চরফ্যাশনে স্বামীর খোঁজে আসা গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল (১৫জানুয়ারি) বুধবার গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। থানাসূত্রে জানা যায়, ধর্ষনের শিকার ওই গৃহবধুর দেওয়া তথ্যমতে গত মঙ্গলবার রাতে চরফ্যাশন ভুতারখাওয়া সড়ক থেকে পৌর ৬ নং ওয়ার্ডের কামাল মিস্ত্রির ছেলে রিকশা চালক নয়ন (২৩) ও আনছারুল হক মাঝির ছেলে মনির মাঝিকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধুর বাড়ি কিশোরগঞ্জের নোয়াপাড়ার কুলিয়ারচর গ্রামে। তার স্বামী মিজানুর রহমানের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলায়। থানা হেফাজতে থাকা ওই গৃহবধু অভিযোগ করে বলেন, আমি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় মিজানুর রহমানের সাথে আমাার পরিচয় ও বিয়ে হয়। বর্তমানে আমি ঢাকা চিটাগং রোডে এটি ভাড়াটিয়া বাসায় আমার দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করি। আমার স্বামী বিগত দুই মাস যাবত আমাকে ঢাকায় রেখে অন্যত্র লাপাত্যা হয়ে যায়। আমার স্বামীর ঘরবাড়ী আমি চিনিনা শুধু জানতাম তার বাড়ী চরফ্যাশন পাটওয়ারী বাড়ী। পরে আমার স্বামী মিজানুর রহমনের খোঁজে ১৪ জানুয়ারি ঢাকা থেকে ভোলা হয়ে চরফ্যাশন পুরান বাসস্টান্ডে আসি। এসময় রিক্সাওয়ালা আসামি নয়ন আমাকে জিজ্ঞেস করে কোথায় যাবেন। তখন আমার স্বামীর বাড়ীর কথা বললে সে ওই বাড়ী চিনে বলে আমাকে রিকশায় উঠান। আমি তার কথা বিশ্বাস করে রিকশায় উঠলে বেলা ১১টার সময় জিন্নাগর ৫নং ওয়ার্ডে হাজি আঃ মতিনের সুপারি বাগানের সামনে নিয়ে যায়। এবং সেখানে থাকা মনির মাঝি ও রাসেল নামের দুই ব্যাক্তিসহ রিকশা থেকে আমাকে নামিয়ে টানা হেচরা করে নয়ন ও মনির মাঝি আমাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে।এবং রাসেল রাস্তায় দাড়িয়ে পাহারা দেয়। নির্জন জঙ্গল হওয়ায় আমার ডাক চিৎকারে কেউ আসেনি। আসামীরা আমার উপর নির্যাতন করার সময় একে অপরের নাম বলাবলি করলে আমি তাদের নাম জানতে পারি। পরে এঘটনা মুঠো ফোনে আমার স্বজনদের জানাই এবং থানায় মামলা দায়ের করি। এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন জানান, থানায় নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ৯ (৩)/৩০ ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ৯ এবং গণধর্ষণের ঘটনায় ওই গৃহবধুর দেওয়া তথ্য ও অভিযোগে প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে তবে রাসেল নামের একজন পলাতক রয়েছে।