ভোলায় জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরসিন মেখে আগুন,মত্যুার সাথে পাঞ্জা লরছে গৃহবধু

0
639

রাকিব উদ্দিন অমি ,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট॥
ভোলায় জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরসিন মেখে আগুন দিয়েছে এক শিশু ওঝা ,অপচিকিৎসায় মত্যুার সাথে পাঞ্জা লরছে গৃহবধু জোসনা বেগম (৪৫)।
ভোলায় জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরসিন মেখে ঝাড়-ফুকের সময় আগুন লেগে শরীরের প্রায় ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে ৪ সন্তানের জননী জোসনার। অগ্নিদগ্ধ ওইগৃহবধুকে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় প্রেরণ করা
হয়েছে
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘার হাওলা গ্রাম। এই গ্রামে প্রবাসী জসীম এর স্ত্রী জোসনা বেগমকে জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরসিন মেখে ঝাড়-ফুকের সময় আগুন ধরিয়ে দেয় শিশু ওঝা রুনা। বর্তমানে গৃহবধূ মত্যুার সাথে পাঞ্জা লরছে।
আহতের মা মাহফুজা জানান, কিছুদিন ধরে তার মেয়ে জোসনা বেগম (৪৫) অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এটাকে জ্বীনের আছর মনে তারা পাশ্ববর্তী গ্রামের ওঝা বেলায়েত হোসেন ও তার নাতনি শিশু (১৩ বছর বয়সী) ওঝা খ্যাত রুনা বেগমকে দেখায়। শিশু ওঝা রুনা বেগম জোসনা বেগমের গায়ে কেরসিন মেখে আগরবাতি ও ধূপ জ্বালিয়ে ঝাড় ফুকের এক পর্যায়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ডাক চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে রাতেই জোসনা বেগমকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে আনার আগেই তার শরীরের প্রায় ৫০ ভাগ ঝলসে যায়। সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে আজ দুপুরে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওঝা বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রী অহিদা বেগমকে আটক করেছে।
জোসনা বেগম এর মেয়ে সাথী আক্তার জানায়,আমার মা অসুস্থ থাকায় শিশু খলিফাকে আনা হয়। উনি ঝাড়-ফুকের সময় আগুন লাগিয়ে দেয় আমার মায়ের শরীরে। আমরা এই ঘটনার জন্য দোষী রুনার শাস্তি দাবি করি।তবে এই ঘটনায় শিশু ওঝা রুনা জড়িত নয় বলে দাবী করছে তার নানা-নানী।
অগ্নিদগ্ধ জোসনার বাড়ি সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘার হাওলা গ্রামে। ৪ সন্তানের জননী জোসনার স্বামী মো. জসিম সৌদি প্রবাসী।
ভোলা সদর থানার ওসি মো. ছগির মিঞা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জড়িত অন্যদের আটকে অভিযানে চলছে।

LEAVE A REPLY