স্স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :ভোলা সদর উপজেলার ২ নং ইলিশা ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের মেঘনা নদীর ব্লক পার থেকে মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) ভোরে স্থানীয়রা গলাকাটা এক ব্যক্তিকে দেখে ইলিশা পুলিশ ফাঁিরতে খবর জানালে ইলিশা ফাড়িঁর ইনচার্জ মোক্তার হোসেন, এ.এস আই সুজন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গলাকাটা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় এ. এস আই সুজন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা আশংকা জনক দেখে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রোগীর অতিরিক্ত রক্ত খরনের কারনে তার শরীরে রক্তের শূর্নতা দেখা যায়, তাৎক্ষনিক ভাবে তার এ পজেটিভ রক্তের গ্রুপের সাথে ইলিশা ফাঁিড়র কনস্টেবল মাসুদ ও ইলিশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ এর মিল থাকায় তিনি বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্ত দেওয়ার জন্য চলে যান। এদিকে পুলিশের এমন ভূমিকায় ইলিশা বাসি অভিনন্দন জানিয়েছে। ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোক্তার হোসেন ও এ.এসআই সুজন সহ সকল পুলিশ সদস্যকে। ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সেচ্ছা সেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরাজী জানান, এস.আই মোক্তার ও এ.এস.আই সুজন খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে এসে গলা কাটা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে পরে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এ.এস.আই সুজন। সম্পূর্ণ খরচও বহন করেন তারা। পুলিশ যে জনগনের বন্ধু, জনগনের সেবক তা আরও একবার প্রমান করলেন এস.আই মোক্তার ও এ.এসআই সুজন। পুলিশ বাহিনীতে প্রতিটি থানায় যদি এমন জনগনের বন্ধু পুলিশ থাকে তাহলে বাংলাদেশ শান্তির দ্বীপে পরিনত হবে। পুলিশের প্রতি মানুষের আরও আস্থা ফিরে আসবে। রোগীর সাথে থাকা এ.এস.আই সুজন জানান এ পর্যন্ত ৩ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফিরে আসেনি। তবে কে বা কাহারা এই কাজ করেছে রোগী সুস্থ হলেই বের হয়ে আসবে। এখনো রোগীর পরিচয় জানাযায় নি এবং রোগীর সুস্থ্যতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।