স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার বাপ্তায় পরকিয়া প্রেমে হাতে নাতে ধরা খেয়ে উল্টো স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও মিথ্যা নিযার্তনের অভিযোগ করেছে স্ত্রী। ভুয়া গুরুতর আহত সেজে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন দেখিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়েরের চেষ্টা চালাচ্ছে স্ত্রী রাবেয়া আক্তার লাকী। ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর বাপ্তা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর বাপ্তা গ্রামে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় কাঞ্চন, মাকসুদ, মালেক মাঝি, পারুল বেগম, বকুল বেগম, আমেনা বেগম জানায়, বাকলাই বাড়ির বাসিন্দা তছির আহমদের ছেলে আনোয়ার হোসেন রিংকুর সাথে প্রায় ৫ বছর আগে একই গ্রামের দায়রা বাড়ি এলাকার মৃত আবদুর রবের মেয়ে রাবেয়া আক্তার লাকির সাথে বিয়ে হয়। চাকুরির কারনে আনোয়ার ঢাকাতে অবস্থান করার সুযোগে বারেয়া মোবাইল ফোনে বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়।
এই বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী আনোয়ারের সাথে স্ত্রী বাবেয়ার কয়েক বার ঝগড়া হয়। স্ত্রীর খারাপ চরিত্রের হওয়ার কারনে স্বামী আনোয়ার তাকে তালাক দিতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গন্যমাণ্য ব্যাক্তিরা মানেবতার খাতিরে আনোয়ার ও রাবেয়ার ঝগড়া মিটিয়ে দেয়। গত কয়েক মাস আগে আনোয়ার ও রাবেয়ার সাথে পরকিয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুররায় ঝামেলা বাধে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ভবিষ্যতে আর কারো সাথে পরকিয়ায় জড়াবে না এই শর্তে ১০০ ও ৫০ টাকার মোট ২টি স্ট্যাম্পে শই করে মুচলেকা দেয় রাবেয়া। পরে আনোয়ার পুনরায় রাবেয়াকে গ্রহণ করে।
গত ১৯ মে আনোয়ার ঢাকা থেকে ভোলায় আসলে রাবেয়াকে পরকিয়াসক্ত অবস্থায় হাতে নাতে ধরে ফেলে। এই বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাবেয়া তার ভাইয়ের বাড়িতে চলে যায়। পরে রাবেয়ার ভাই শফিউদ্দিন লোকজন নিয়ে আনোয়ার কে মারধর করতে আসে। স্থানীয়রা বাঁধা দিলে সে চলে যায়। পরে বোন রাবেয়াকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে রাবেয়ার স্বামী আনোয়ারের বিরুদ্ধে ভুয়া যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগ করে এবং মিথ্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা চালায়।
এ ব্যাপারে রাবেয়া আক্তার লাকি ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।