স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।বরিশালের সঙ্গে লঞ্চ চলাচল সারা দিন বন্ধ থাকার পরে বিকেলে লঞ্চ চালু হলেও অভ্যন্তরীনরুটে গুলোতে বাস চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে।
বোরহানউদ্দিনে ফেইসবুকে কথিত ‘ধর্ম অবমাননা’ ফেসবুক স্ট্যার্টাস নিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে নিহতেদের রূহের মাগফিরাত প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবারের ‘সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে দোয়া মাহফিল ডাকা হয়েছিলো।কিন্তু জেলা প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় বৃহস্পতিবারই তা স্থগিত করার কথা জানান সংগঠনটির যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের পক্ষ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, “উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোলা জেলার আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে আপতত সভা সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে আগামীকাল (শুক্রবার) ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আপনাদের (সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের) আয়োজনের অনুমতির বিষয়টি না মঞ্জুর করা হল।”
এক হিন্দু তরুণের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ২০ অক্টোবর বোরহানউদ্দিনে ডাকা ওই সমাবেশে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত লোক জড়ো করা হয়েছিল। এক পর্যায়ে সেখান থেকে পুলিশের ওপর হামলা হয় এবং সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন।
শুক্রবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও সেদিনের মত যাতে লোক জড়ো করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ কেউ না নিতে পারে, সেজন্য সকাল ৬টা থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটের বাস এবং ভোলা- বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন ।
ভোলায় বিআইডব্লিউটিসির সহকারী পরিচালক মো. কামুরুজ্জামান বলেন, “ভোলার জেলা প্রশাসক ও বরিশালের ডিআইজির অনুরোধে আমরা সকাল থেকে ভোলা-বরিশাল লঞ্চ বন্ধ রেখেছিলাম। জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি পাওয়ায় বিকাল ৩টায় আবার চলাচল শুরু হয়েছে।”
তবে বাস চলাচল বিকালেও শুরু হয়নি জানিয়ে ভোলা বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি আবুল কালাম বলেন, “জেলা প্রশাসন আমাদের অনুরোধ করেছিল। সকাল থেকে জেলার অন্যন্তরীণ কোনো রুটে বাস চলেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকালের পর বাস চলবে।”
এদিকে সারা দিন লঞ্চ ও বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন স্থানে গন্তব্যের যাত্রীরা।বেশি ভোগান্তিতে পরে ভোলা দক্ষিণ থেকে শুক্রবার ডাক্তার দেখাতে আসা রোগীরা। শহরের পরিস্থিতি থমথমে দেখে আজকে রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। কিন্তুু যারা রোগী দেখাতে সহরে এসেছেন তাদের আসার পথে এবং বাড়ি ফেরার পথে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে শহরে আসতে হয় আসলেও যাওয়ার কোনো যানবাহন না পাওয়ায় তারা ভোগান্তিতে পড়েন।পরে বিকাল ৩টায় প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু হয় কিছুটা হলেও ভোগান্তি কমে।