ঝামেলা খুব বেশি দূর গড়ায়নি আম্পায়ার ও আফগানিস্তানের অন্য খেলোয়াড়রা এসে হস্তক্ষেপ করায়। তবে মাঠের ঝামেলা সেখানেই থেমে গেলেও গ্যালারিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে দেখা যায় দুই দলের সমর্থকদের।
ম্যাচ শেষে আফগান সমর্থকরা তর্কে জড়ান পাকিস্তানের সমর্থকদের সঙ্গে। একটা পর্যায়ে সেটা রূপ নেয় মারামারি আর ভাঙচুরে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন আফগান দর্শক গ্যালারির চেয়ার ভাঙচুর করছেন, একজন পাকিস্তান–সমর্থককে পেটাতেও দেখা যায়।
এসব নিয়ে খেলা শেষে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেন শোয়েব। প্রতিবেশী দেশটির সমালোচনা করে রীতিমতো একহাত নেন তিনি, ‘জাতি হিসেবে আমরা সব সময়ই আফগানিস্তানের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছি। আসিফ আলী আউট হওয়ার পর এটা তারা কী করল? কে তাকে ধাক্কা দিল, এমনকি গালিও দিল? তোমরা ক্রিকেট খেলো। নিজেদের আবেগ দেখাও। এ ধরনের ঔদ্ধত্য দেখিয়ো না। এ জন্যই স্রষ্টা তোমাদের শাস্তি দিচ্ছেন। আর এ কারণেই স্রষ্টা এক পাঠানের (নাসিম শাহ) ছক্কায় আরেক পাঠানকে হারিয়ে দিয়েছেন। তোমরা লজ্জিত হয়েছ এবং কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছ।’
আফগানিস্তান দলের আচরণ ঠিক হয়নি বোঝাতে গিয়ে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের প্রসঙ্গও এনেছেন শোয়েব। আফগানরা ভালো ক্রিকেট দল উল্লেখ করে শোয়েব বলেন, ‘আমরা তো ভারতীয়দের সঙ্গে বেশ ভালোভাবে মিশি। আর তোমরা কী করছ? আমরা তোমাদের ভাই বলে মনে করি। প্রতিবেশী দেশ, তোমাদের আমরা ভালোবাসি, খেয়াল রাখি। আর সেই তোমরা এমন বেয়াদবি করছ? এটা মানা যায় না।’
ইউটিউবের পাশাপাশি টুইটারেও আফগানিস্তান নিয়ে সরব হয়েছেন শোয়েব।
আফগান–সমর্থকদের গ্যালারির চেয়ার ভাঙার ভিডিও পোস্ট করে ট্যাগ করেছেন আফগান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) সাবেক প্রধান নির্বাহী শফিক স্টানিকজাইকে। শফিককে শোয়েবের প্রশ্ন, ‘খেলায় উন্নতি করতে হলে তোমাদের দর্শক ও খেলোয়াড়দের কিছু বিষয় শিখতে হবে।’
শোয়েবের এই ‘পরামর্শ’ অবশ্য স্টানিকজাইয়ের পছন্দ হয়নি। জবাব দিতে গিয়ে উল্টো কিছু কথা শুনিয়েও দিয়েছেন, ‘তুমি সমর্থকদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো না। আর এ ধরনের ঘটনা বিশ্ব ক্রিকেটে অনেকবার ঘটেছে। তুমি কবির খান, ইনজামাম ভাই আর রশিদ লতিফকে জিজ্ঞাসা করে দেখো—তাদের সঙ্গে আমাদের আচরণ কেমন ছিল। আমি তোমাকে একটা পরামর্শ দিচ্ছি, একটা কথাকে গোটা দেশের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলো না।’