সেমিফাইনালের মঞ্চে এবারের মতো ষষ্ঠবার খেলতে যাচ্ছে ফ্রান্স। এই বাধা টপকাতে পারলে তারা তৃতীয়বারের মতো যেতে পারবে ফাইনালের মঞ্চে। অন্যদিকে, ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম বেলজিয়াম সুযোগ পেয়েছে শেষ চারে খেলার। যদিও সেমিফাইনালের মঞ্চে তিনবারই পরাজিত হয়েছে ফ্রান্স। তবে এমন ‘হাই ভোল্টেজ’ ম্যাচ খেলায় অভিজ্ঞতায় রেড ডেভিলদের চেয়ে এগিয়ে আছে ফ্রেঞ্চরাই।
এর আগে বিশ্বকাপে মাত্র দুবার মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স-বেলজিয়াম। দুবারই জয় পেয়েছে ফ্রান্স। ১৯৩৮ ও ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে যায় বেলজিয়াম। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আছে বেলজিয়ামই। এর আগে ৭৩ বার দেখা হয়েছে দুদলের। বেলজিয়ামের জয় ৩০টি ম্যাচে, ফ্রান্স জিতেছে ২৪টি ম্যাচে, বাকি ১৯টি ম্যাচ ড্র।
দুই দলেরই রয়েছে ম্যাচ জেতার ধারাবাহিকতা। ফ্রান্স এর আগে টানা ২৭টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে, বেলজিয়াম জিতেছে টানা ২৩টি ম্যাচ। ২০১৬ সালের ইউরো কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে পরাজয়ের পর আর কোনো ম্যাচে পরাজিত হয়নি তারা।
ফ্রান্স দল তারকা খেলোয়াড়ে ঠাসা। কিলিয়াম এমবাপে, আন্তোনিও গ্রিজম্যান, অলিভার জিরুদ, উসমানে দেম্বেলেরা যেকোনো মুহূর্তে জ্বলে উঠে ম্যাচ নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারেন। পল পগবা পুরো মধ্য মাঠের দায়িত্ব নিজে একাই সামলান। অন্যদিকে, রোমেলু লুকাকু, এডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইন ফ্রান্সের বিপক্ষে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।
তবে বেলজিয়াম- ফ্রান্স ম্যাচে দুই দলের গোলরক্ষকও গড়ে দিতে পারেন পার্থক্য। বড় ভূমিকা রাখতে পারেন দলের জয়ে। ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে নৈপুণ্য দেখান। মূলত লরিসের দুর্দান্ত সব সেভেই কোনো গোল হজম না করে শেষ চারে পা রাখে ফ্রান্স। অন্যদিকে, শেষ আটে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়ে বেলজিয়ামের সেমিফাইনালে ওঠার অন্যতম নায়ক বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া। পুরো ম্যাচেই তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে নেইমার, ফিলিপ কুতিনহো, ডগলাস কস্তাদের গোল বঞ্চিত করেন।