ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। বিয়ের দাওয়াতের খাবারে দই টক হওয়ায় বর ও কনে পক্ষ পার্টি সেন্টারের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে
লক্ষ্মীপুরে বিয়ের দাওয়াতের দই টক হওয়ায় বর ও কনেপক্ষের হামলায় পার্টি সেন্টারের কর্মীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন কনের বাবা মো. খোকন মিয়া ও খালাতো ভাই আলী হোসেন। গতকাল বুধবার রাতে কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী রাকিবুজ্জামান রাকিব বাদী হয়ে ৭ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এদিন বেলা তিনটার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের শাহপুর এলাকার বৃষ্টি নামের এক মেয়ের সঙ্গে সদর উপজেলার দালাবাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিনের বিয়ে হয়। সে উপলক্ষে পার্টি সেন্টারটিতে ভোজসহ বিয়ের অনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়।
অতিথিদের প্রথম পর্বে আপ্যায়নের সময় দই টক বলে অভিযোগ করে কনেপক্ষ। বিষয়টি পার্টি সেন্টার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পার্টি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী রাকিব পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় কনেপক্ষের সঙ্গে বরপক্ষও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। উভয় পক্ষ পার্টি সেন্টারের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে পার্টি সেন্টারের অন্তত ১৫ জন কর্মী আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মামলার বাদী রাকিব, রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) শাহাদাত হোসেন, বাবুর্চি রাসেল, মো. পরান ও আবদুল মাজেদ।
গ্রেপ্তারের আগে কনের বাবা মো. খোকন বলেন, দই টক ছিল। খাওয়ার উপযোগী ছিল না। এ নিয়ে অতিথিদের সঙ্গে পার্টি সেন্টারের কর্মীদের কথা–কাটাকাটি হয়। তাঁরা অতিথিদের ওপর হামলা চালান। তবে পার্টি সেন্টারের মালিক রাকিবুজ্জামান রাকিব বলেন, ‘দই টকের অভিযোগ তুলে বর ও কনেপক্ষ একযোগে হামলা শুরু করে। তারা আমাদের মারধর করে এবং পার্টি সেন্টারও ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
পার্টি সেন্টারে আজ সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ার–টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব এলোমেলো। কয়েকটি চেয়ার ভাঙা পড়ে আছে। এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, হামলায় ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।