ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।এক মাসের মধ্যে তিন দফায় অস্বাভাবিক হারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ব্যাখ্যা চেয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
বাণিজ্য সচিব, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ও টিসিবির চেয়ারম্যানকে তিন দিনের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ‘কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটি’র পক্ষে নোটিসটি পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, ‘গত এক মাসে তিন দফায় দুইশ শতাংশেরও বেশি দাম বেড়েছে। নিঃসন্দেহে এটি অস্বাভাবিক। বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করলেও সরকারের কাছ থেকে দাম বৃদ্ধির কারণ জানা যায়নি। এছাড়া পণ্যের দাম তদারকি ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে উদাসীন।’
তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা না পেলে বা ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান আইনজীবী শিহাব।
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবি ১৩ জুলাই থেকে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত তিন দফায় দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে নোটিসে।
এতে দেখা যায়, গত ১৩ জুলাই টিসিবি প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে ২৮-৩২ টাকা আর আমদানিকৃত প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ধরা হয় ২২ থেকে ২৫ টাকা।
এর ২০ দিন পর অর্থাৎ ৮ অগাস্ট প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে টিসিবি। অর্থাৎ, এই সময়ে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়ে ১০ থেকে ২০ টাকা।
এরপর মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে অর্থাৎ ১৬ আগস্ট টিসিবি আবারও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে। এবারও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়।
দেশি পেঁয়াজের প্রতি কেজির দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আর আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।