ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ।। এগারো দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশালের সকল রুটের নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে সারা দেশের ন্যায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১২টার পর থেকে বরিশালেও ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।
এর ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে অভ্যন্তরিন রুটে বরিশাল নদী বন্দর থেকে কোন নৌযান ছেড়ে যায়নি। বরং যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো টার্মিনাল থেকে সরিয়ে নদীর মাঝখানে নোঙর করেছে।
এদিকে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী। সোমবার রাত ১২টার পর থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটের কারণে তাদের নৌ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশেষ করে বরিশাল থেকে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌযান বন্ধ থাকায় বরিশাল-ভোলা, বরিশাল-মজুচৌধুরীর হাট ও বরিশাল-মেহেন্দিগঞ্জ রুটের যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। ঝুঁকি নিয়ে স্পিডবোর্ডে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, সারাদেশে ‘শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, সার্ভিস বুক, পরিচয়পত্র, শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, খাদ্যভাতা ফ্রি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাশ, জাহাজে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হওয়া শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, নৌ পথে চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী ও ডাকাতি বন্ধ, পরীক্ষা বোর্ড মেরিন কোর্টের দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধ এবং নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে।
শান্তিপূর্ণ এই ধর্মঘটের কারণে বরিশাল থেকে যাত্রী বা মালবাহি কোন নৌযান চলাচল করেনি। বরিশাল নদী বন্দর থেকে প্রতিদিন ১৩টি অভ্যন্তরীণ রুটে বেসরকারি নৌযান চলাচল করে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে একটি নৌযানও ছেড়ে যায়নি। অভ্যন্তরীণ দূরপাল্লার প্রতি যাত্রীবাহী ও মালবাহী পরিবহন কীর্তনখোলা নদীর মাঝে ও অপরপ্রান্তে নোঙর করে রাখা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ওই নেতা।