ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার পুরোটা বিবেচনা করে সরকার পক্ষ থেকে পরে জানানো হবে বলেও ঐক্যফ্রন্ট নেতারা জানান।
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় সংলাপ পরবর্তী ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘৭ দফার ব্যাপারে আজকের সংলাপে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি, তবে এ ব্যাপারে সীমিত পরিসরে আরো আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান চাই। তা না হলে পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে গেলে এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি। কিন্তু দাবি না মানলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে গেলে সরকারকে দায় নিতে হবে।’
ড. কামাল বলেন, ‘ইতিমধ্যে সারা দেশে হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেসব মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে আর কোনো গায়েবি মামলা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা যাবে না।’
এই সংবিধান প্রণেতা বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের আর গ্রেপ্তার করা হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগামীকাল রাজশাহী অভিমুখে আনাদের লংমার্চ অব্যাহত থাকবে। ঘোষিত কর্মসূচি পালন করা হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামে দাবি আদায় করা হবে। সংলাপটা আমাদের আন্দোলনেরই অংশ, আলোচনা অব্যাহত থাকবে, আমরা আন্দোলনে আছি আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় হবে।’
খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তবে কোনো সমাধান আসেনি।’