চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার মানিকা ইউনিয়নের দৌলতপুতর গ্রামে জমি জমাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পুত্রের হামলায় একই পরিবারের ৩জন আহত হয়েছেন। আহত ফাতেমা বেগম (৫০) , রফিজল মাঝি (৬০) ও মো. ইউসুফ হোসেন (৩২) চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। রোববার (১০মে) সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দৌলতপুর গ্রামের বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন সরকারি খাস জমিতে মসজিদের নামে একটি পুকুর পাড়ের সিমানা নির্ধারনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তুহিন হাওলাদার ও সাহিন হাওলাদারের লাঠির আঘাতে নারীসহ ৩জন আহত হন। এ বিষয়ে আহত ফাতেমা বেগমের স্বামি রফিজল জানান, আমার বসত ঘরের সিমানার সংলগ্ন মসজিদের পুকুর পাড়ের নাম দিয়ে তুহিন হাওলাদার ৬হাত জমি দখল করার চেষ্টা করে আমি ও আমার স্ত্রী বাঁধা দিলে তুহিন ও তার ভাই সাহিনসহ ১০ থেকে ১২জন মিলে আমাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে এসময় ধারালো দাঁয়ের আঘাতে আমার স্ত্রী ফাতেমার মাথা ও কপাল কেটে যায়। স্থানিয় সাজেদা বেগম,শাহে আলমসহ একাধিক এলাকাবাসি বলেন, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন দৌলতপুর ৬নং ওয়ার্ডে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন মসজিদের পুকুরটিতে সফিউল্লাহ চেয়ারম্যনের ছেলে তুহিন দির্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে সকল আয় ব্যয় ভোগদখল করে আসছে।
এ বিষয়ে তুহিন হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তুহিন হাওলাদার হামলার সাথে জরিত ছিলো না বলে তার পরিবার দাবি করেন। দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দৌলতপুর গ্রামে জমিজমাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যনের ছেলে তুহিন হাওলাদারসহ ৪জনকে আসামী করে রফিজলের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।