তজুমদ্দিনে সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা, নির্বাচনী অফিস ভাংচুর আহত ১৫

0
508

রাকিব উদ্দিন অমি,হেলাল উদ্দিনলিটন,তজুমদ্দিন থেকে।।ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা করেছে। এসময় হামলাকারীরা নির্বাচনী অফিস ভাংচুরহ করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে অন্তত ১৫জনকে আহত করেছে। এঘটনায় থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকায়।

গতরাতে তজুমদ্দিন উপজেলার ফকিরহাট বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ করার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঐ সময় আওয়ামী লীগ নেতা সতন্ত্র প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল উপজেলার ফকিরহাট বজারের পাশে একটি পথসভায় অংশ নেয়ার কথা ছিলো। এর আগে নৌকার সমর্থকরা একটি মিছিল নিয়ে এসে তজুমদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মো: রাসেল এর নেতৃত্বে ১৫/১৬জন ক্যাডার পথসভায় হামলা চালায়। এসময় শুরু হয় উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ। থেমে থেমে চলে একে অপরের উপর লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা। এসময়র ভাংচুর করা হয় সতন্ত্র আনারস মার্কার প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল এর নির্বাচনী অফিস এবং স্থানীয় এমপির নামের ক্লাব শাওন সেনা ঐক্য পরিষদ অফিস। একই সাথে পথসভাস্থলের চেয়ারসহ বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন, বোরহানউদ্দিন ও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বর্তমানে ঐ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এবিষয় শম্ভুপুর ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ন-সম্পাদক শাওন সেনা ঐক্য পরিষদ সভাপতি মো: নুরনবী বলেন,তারা আনারস মার্কার পক্ষে নির্বাচনী পথসভা করছিলো। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মো: রাসেল এর নেতৃত্বে ১৫/১৬জন ক্যাডাররা পথসভায় হামলা চালায়। পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে একে একে ১৫জনকে। ভাংচুর করে একটি ঔষধের দোকান। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অথচ আমরা শান্তিপুর্ন পরিবেশের জন্য একই স্থানে নৌকার সমর্থকদের পথসভা করতে দিয়ে সহযোগীতা করেছি। তারা যদি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ না করে তা হলে আমরা সাধারন ভোটাররা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আমরা চাই শান্তিপূর্ন পরিবেশে সুন্দর নির্বাচন।

অভিযোগ সম্পর্কে তজুমদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মো: রাসেল বলেন,হামলা ভাংচুর এর সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেস্টা করেছি। এঘটনায় আমাদের অন্তত ৫/৭জন আহত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান বলেন,আমি চাই শান্তিপুর্ন নির্বাচন। জনগন যাকে ভোট দিবে সেই নির্বাচিত হবে। তবে তিনি আরো বলেন,আমার নেতাকর্মীরাদের আমি বলেছি তোমরা যদি কোন জায়গায় এসব ঘটনায় ( হামলা,ভাংচুর এর সাথে) জড়াও আমি নির্বাচন বর্জন করবো। আমি আশা করি শান্তিপুর্ন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করবে। আমি পুলিশ সুপারকেও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য অনুরোধ করেছি।

অপরদিকে আনারস মার্কার সতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোশারেফ হোসেন দুলাল বলেন,আমি প্রচারনা করতে গেলেই প্রতিপক্ষ নৌকার ক্যাডাররা আমার উপর হামলা করছে। মারধোর,নির্বাচনী অফিস ভাংচুর আর পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। প্রচার-প্রচারনায় বাঁধা দিচ্ছে। তবে আশা করি তজুমদ্দিনের সাধারন ভোটারসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীরা আমার সাথে আছে বলেই প্রতিপক্ষ প্রার্থী অসহায় হয়ে পড়েছে। নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না বলেই হামলা,ভাংচুর এর পথ বেছে নিয়েছে। প্রশাসন সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আশা করছি,যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। ভোটারদের নিরাপত্তা দেয়া আর ভোট প্রদানে সহায়তা করার দাবী করছি এবং প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।

এদিকে তজুমদ্দিন থানার ওসি মো: ফারুক আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

উল্লেখ,আগামী ৩১মার্চ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

LEAVE A REPLY