ভোলা নিউজ২৪ডটকম ডেক্স।।ভোলার চরফ্যাশনে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা ১৬৫টি মরা মুরগীসহ মো. ইয়াছিন (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ী আটক করা হয়েছে। পরে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।আকটকৃত ওই ব্যবসায়ী চরফ্যাশন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে ও পৌর কসাইপট্টির মুরগি ব্যবসায়ী।
শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চরফ্যাশন পৌর কসাইপট্টি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ইয়াছিন জানান, সাতক্ষীরা থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ৪শ মুরগি ক্রয় করে চরফ্যাশনে আনেন। মুরগিগুলো গাড়ি থেকে নামানোর পর দেখি কিছু মৃত আর কিছু মুরগি দোকানে মারা গেছে। মরা মুরগি কোনো হোটেলে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিলো না বলেও জানান ব্যবসায়ী ইয়াছিন।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মাহাবুব কবির জানান, স্থলভাগের সব প্রাণীই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড রক্তের সঙ্গে বের হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, যখন ওই প্রাণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরে মাংসের সঙ্গে মিশে যায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ কারণেই এসব মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।
পরে চরফ্যাশন পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে দোকান মালিক মো. ইয়াছিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয় এবং মরা মুরগিগুলো পৌরসভার দায়িত্বে মাটির নিচে চাপা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন পৌর মেয়র মো. গোলাম মোরর্শেদ কিরণ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিসহ পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু, চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও পৌর স্বাস্থ্য সহকারী ইকবাল হোসেনসহ আমরা কসাই পট্টি ইয়াছিনের মুরগির দোকানে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় বিভিন্ন খাবার দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা ১৬৫ পিস মরা মুরগিসহ ইয়াছিনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, মানবিক কারণে ওই ব্যবসায়ীকে পৌর স্বাস্থ্য সহকারী ইকবাল হোসেনের মাধ্যমে মুচলেকা রেখে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ না করার অঙ্গীকার করে ছেড়ে দেয়া হয়। আর জব্দকৃত মরা মুরগি মাটিতে পুতে দেয়া হয়।