ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি গতি বাড়িয়েছে। এটি এখন সরাসরি বাংলাদেশের দিকে মুখ করে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। ঘণ্টায় ১৬ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির গতিমুখ সরাসরি বরিশালের দিকে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, গভীর নিম্নচাপটি আজ রাত নয়টার মধ্যে যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সে সময় এর গতিপথ বদলে যেতে পারে। ঝড়টির সঙ্গে যে বিশাল মেঘমালা তৈরি হয়েছে, তার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলসহ বেশির ভাগ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আজ রাত ও আগামীকালের মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ ও বাতাসের গতি বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, শুরুতে লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সময় এর গতি কম ছিল। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর থেকে এটি গতি বাড়িয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তা আরও দ্রুতগতিতে এগোবে বলে মনে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। আগামীকাল মধ্যরাতের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি ও মঙ্গলবার সকালের মধ্যে উপকূলে আঘাত করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির আঘাত হানার সম্ভাব্য স্থানটি মূলত দেশের দ্বীপ এলাকা।
সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া ও সেন্ট মার্টিন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব বেশি থাকতে পারে। তবে জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয় বন্যা হওয়ার আশঙ্কাও আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অমাবস্যা তিথি ও বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস বয়ে যেতে পারে। দেশের উপকূলীয় জেলা খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।